
কলকাতা: রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি! বানভাসি পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি। এই পরিস্থিতির জন্য় আরও একবার DVC-কে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখলেন, “DVC-র “বন্যা নিয়ন্ত্রণ” আবারও বাংলাকে ‘ডুবিয়ে’ দিয়েছে।”
DVC-র “বন্যা নিয়ন্ত্রণ” আবারও বাংলাকে ‘ডুবিয়ে’ দিয়েছে। DVC-র এবারের ব্যর্থতা শুধু অন্যান্যবারের থেকে বেশিই নয়, অভূতপূর্ব।
স্পষ্টতই, কেন্দ্রের দ্বারা পরিচালিত এই সংস্থাটি ক্রমশ আরো বেশি বেশি করে বাংলা-বিরোধী হয়ে উঠছে। সারা ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলা-বিরোধী পরিবেশ তৈরি…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 4, 2025
উল্লেখ্য, প্রত্যেকবারই বর্ষাকালে বাংলা প্লাবিত হলে ডিভিসি-র জল ছাড়াকেই দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া নিয়ন্ত্রণে ডিভিসি-র ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার এই পরিস্থিতিকে বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী ‘ম্যান মেড বন্যা’, ‘ষড়যন্ত্রের বন্যা’ বলে উল্লেখ করেছে। কিন্তু এবারের বাংলার পরিস্থিতিতে DVCকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “কেন্দ্রের দ্বারা পরিচালিত এই সংস্থাটি ক্রমশ আরো বেশি বেশি করে বাংলা-বিরোধী হয়ে উঠছে। সারা ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলা-বিরোধী পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই পরিস্থিতিকে দেখতে হবে।”
গত বছরের তুলনায় DVC এবছর জল ছাড়ার পরিমাণ ১১ গুণ বাড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মমতা। তিনি পোস্টে তথ্য দিয়ে উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের জুন ও জুলাই মাসে DVC থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ৪,৫৩৫ লক্ষ কিউবিক মিটার । ২০২৫ সালের জুন ও জুলাই মাসে DVC থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৫০,২৮৭ লক্ষ কিউবিক মিটার। অর্থাৎ ২০২৪ সালের তুলনায় ১১ গুণ ও ২০২৩ সালের তুলনায় ৩০ গুণ বেশি এ বছর DVC জল ছেড়েছে বলে দাবি করেছেন মমতা। উল্লেখ্য, গত বছরই প্রতিবাদ জানিয়ে ডিভিসি-র বোর্ড এবং ডিভিআরআরসি থেকে ইস্তফা দেন রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিক। অর্থাৎ ডিভিসি থেকে রাজ্যের প্রতিনিধি প্রত্যাহার করে নেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত কয়েক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়েছে। ডিভিসি জল ছাড়ার পরেই পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। ভেলায় ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহ, বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ মাসের শিশুর! এমনও দৃশ্য দেখতে হল বাংলাকে। বানভাসি হুগলি, পুরুলিয়ারও বিস্তীর্ণ এলাকা। এর মধ্যেও আগামী কয়েকদিন ধরে বৃ্ষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। সেক্ষেত্রে ব্যারাজগুলো থেকে জলছাড়ার পরিমাণও বাড়বে। ফলে ভয় ধরাচ্ছে পরিস্থিতি!