
কলকাতা: এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থানে কার্যত কি সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ? মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুরের `বহিরাগত’ শব্দবন্ধের ব্যাখ্যা দিলেন, আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, সেটা SIR নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থানকে মান্যতা দেওয়ার সামিল। শেক্সপিয়ার সরণিতে কালীপুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “বহিরাগত বলতে একটা রাজনৈতিক দলকে বলেছি, যারা আমাদের ভোটারের নামের পাশে দশটা নাম তোলে।”
কথা প্রসঙ্গেই তাঁর বক্তব্যে যোগ করেন, “নির্বাচনের নাম করে অনেক বহিরাগতেরা হোটেল, গেস্ট হাউস ভাড়া করে থাকে। আর যাঁদের অনেক টাকা তাঁরা ফ্ল্যাট কিনে নেয়। সে তো এখানের বাসিন্দা নয়। কারও যদি এখানে নাম লেখা থাকে। আবার অন্য প্রান্তেও নাম থাকে। দু জায়গায় তো একজনের নাম থাকতে পারে না। যে কোনও এক জায়গায় নাম থাকবে। এটা চিটিং নয়?”
ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে হটসিট ভবানীপুর নিয়ে এখন জোর চর্চা। নেপথ্যে SIR আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবানীপুরে ‘আউটসাইডার’ বিতর্ক। এই বিতর্ক দানা বাঁধে যখন আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে নেত্রী বার্তা দেন, “ভবানীপুরটা পুরো আউটসাইডারদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুরো একটা প্ল্যানিং করে। আউটসাইডার নামে যাঁরা বাংলায় থাকেন, তাঁদের আমি আউটসাইডার বলছি না। যাঁরা হঠাৎ করে বাইরে থেকে এসে টাকা খরচ করে জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করছেন, তাঁদের কথা বলছি।” কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ‘আউটসাইডার’ প্রসঙ্গ আসতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। এবার নিজেই তার ব্যাখ্যা দিলেন মমতা। সঙ্গে এও স্পষ্ট করলেন, কোথাও গিয়ে বাইরে থেকে লোক এখানে ঢুকছে, যারা আদতে ভোটার নন। অর্থাৎ যেটা কিনা নির্বাচন কমিশনও বলছে। একই অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরাও।
কিন্তু বাইরের লোক কারা, সেটা দেখা কমিশনের কাজ বলেই উল্লেখ করলেন মমতা। বললেন, ” এগুলো কাউন্সিলরের দেখা কাজ নয়। কাউন্সিলরকে কেন দেখতে হবে? নির্বাচন কমিশন এটা দেখবে বলেই তো SIR-এর প্রস্তুতি।” বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তাহলে কোথাও গিয়ে কমিশনের অবস্থানকেই মান্যতা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?