AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP: বিজেপি-কে ‘বহিরাগত’ বলে দাগিয়ে দেওয়া ছিল মমতার ভোট জেতার স্ট্র্যাটেজি, দাবি সুকান্তর

BJP State President Sukanta Majumder: "উনি যে গোয়াতে যাচ্ছেন, তাঁর দল বিস্তার করছে। কারণ, গোয়া গোয়ানিসের যেমন তেমন বাঙালির। আমরা স্বাগত জানাচ্ছি ওঁনাকে।''

BJP: বিজেপি-কে 'বহিরাগত' বলে দাগিয়ে দেওয়া ছিল মমতার ভোট জেতার স্ট্র্যাটেজি, দাবি সুকান্তর
সুকান্ত মজুমদার(ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2021 | 2:22 PM
Share

কলকাতা: একুশের ভোটে মোদী-শাহ জুটি যখন পাখির চোখ করেছেন বাংলাকে, বারবার কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা প্রচারে ছুটে এসেছেন এ রাজ্যে, তখন মমতা-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব নিয়ে আসেন ‘বহিরাগত তত্ত্ব’। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের ফের বহিরাগত বলে তাঁদের কটাক্ষ ছিল, বাংলার সংস্কৃতি না বুঝেই বাংলা জয়ের দিবাস্বপ্ন দেখছেন এঁরা। তবে এসবই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের (Mamata Banerjee) ভোটে জেতার কৌশল। এমনটাই দাবি করলেন বিজেপির (BJP) নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

তাঁর কথায়,  “আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির যাঁরা নেতৃত্বে আছি (বাংলায়), সবাই বাঙালি। মমতা ব্যানার্জি যে স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিল সেটা ভোটে জেতার জন্য। আমরা বাংলা ও বাঙালিতে বিভেদে বিশ্বাস করি না। ভারতবর্ষ সবার।” তার পর তাঁর কটাক্ষ, “উনি যে গোয়াতে যাচ্ছেন, তাঁর দল বিস্তার করছে। কারণ, গোয়া গোয়ানিসের যেমন তেমন বাঙালির। আমরা স্বাগত জানাচ্ছি ওঁনাকে।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি  তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগ দিয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরিও (Luizinho Faleiro)। তবে তিনি একা ঘাসফুলে যোগ দেননি। রীতিমতো সদলবলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দলে এসেছেন তিনি। জানান, তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর তাঁকে তৃণমূলে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের দিকে তাদের বহিরাগত তত্ত্ব দিয়ে খোঁচা দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

শনিবার সুকান্তের বক্তব্যে উঠে আসে কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্কের কথাও। তিনি বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সহযোগিতার মাধ্যমেই দেশের উন্নতি হয়। সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ডিভিসি-কে কাঠগড়ায় তোলা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, প্রত্যেক বাঁধের জল ধারণের একটা সীমা থাকে। সেই সীমা যদি পেরিয়ে যায় তাহলে বাঁধ ভেঙে বেশি বন্যা হবে। তাই জল তো ছাড়তেই হবে। এদিকে শনিবার ফের ডিভিসি-র দিকে আঙুল তুলে ম্যান মেড তত্ত্বে অনড় মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়ে দেন প্রয়োজনে ডিভিসি-র কাছে আর্থিক ক্ষতিপূরণও দাবি করতে পারেন তাঁরা।

আর সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, বাংলার বন্যা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। প্রতি বন্যায় মাটির বাঁধ ভাঙে। যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তা মুখ্যমন্ত্রী নেন না বলে দাবি তাঁর। তাঁর কটাক্ষ, “এক হাজার বস্তা ফেলে বলে ১০ হাজার বালির বস্তা ফেলেছি। এমনই চরম দুর্নীতি!”  ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের একপ্রস্ত রাজ্যকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “রাজ্যে সন্ত্রাস আছে প্রত্যেক জায়গায়। ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে। আমাদের মহিলা কর্মীদের রেপ করা হয়েছে। তৃণমূলের সময় এই হিংসা চরমে গিয়েছে।”

পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সুকান্তের বার্তা, “গান্ধী এবং সোসালিজম বিজেপি-র ঘোষিত নীতি, এই নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও ঝগড়া নেই।  আমরা আমাদের মতো পালন করছি গান্ধীজির জন্মজয়ন্তী।”

আরও পড়ুন: Babul Supriyo: ছাড়তে চেয়েও পারছেন না বাবুল! কেন?