Brutal Murder: বউকে টুকরো টুকরো করে ডোবার পাশে পুঁতে দিল স্বামী! শহরতলিতে ঠান্ডা মাথায় হাড়হিম খুন

Crime: সকালে পুলিশ যখন অভিযুক্তকে নিয়ে সারদা পার্ক এলাকায় এসেছিল, তখন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে আলিম শেখ জানিয়েছে, সে কাটারি দিয়ে স্ত্রীকে টুকরো টুকরো করেছে।

Brutal Murder: বউকে টুকরো টুকরো করে ডোবার পাশে পুঁতে দিল স্বামী! শহরতলিতে ঠান্ডা মাথায় হাড়হিম খুন
ডোবা থেকে উদ্ধার দেহ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 22, 2023 | 8:04 PM

কলকাতা: স্ত্রীকে খুন করে জলাশয়ের ধারে নরম মাটিতে পুঁতে দিল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা সংলগ্ন পৈলানে। মৃতার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। নাম মমতাজ শেখ। এদিন বিষ্ণুপুর থানা এলাকার সারদা গার্ডেনে একটি জলাশয়ের ধারে টুকরো টুকরো অবস্থায় মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। তিনটি টুকরো করা হয়েছিল দেহটি। প্রথমে কাদামাটির গাদা থেকে টেনে বের করা হয় দেহের মাথা থেকে কোমর পর্যন্ত অংশ। তারপর পাওয়া যায় দুই টুকরো পা। অভিযুক্ত স্বামী আলিম শেখকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন অভিযুক্তকে নিয়ে ওই জলাশয়ের ধারে গিয়ে পুলিশ মৃতার দেহটি খুঁজে বের করে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

কী কারণে স্ত্রীকে খুন করেছে আলিম, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সন্দেহ ও পারিবারিক বিবাদের কারণেই স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারে সে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর জানা গিয়েছে, মহিলাকে আগে খুন করে, তারপর টুকরো টুকরো করে জলাশয়ের ধারে পুঁতে দিয়েছিল অভিযুক্ত। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। এদিন সকালে পুলিশ যখন অভিযুক্তকে নিয়ে সারদা পার্ক এলাকায় এসেছিল, তখন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে আলিম শেখ জানিয়েছে, সে কাটারি দিয়ে স্ত্রীকে টুকরো টুকরো করেছে।

জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত আলিম শেখের বাড়ি মুর্শিদাবাদে। বিষ্ণুপুর থানা এলাকার সারদা গার্ডেনে মাঝে রাজমিস্ত্রির কাজ করত আলিম। সেই সময়েই মমতাজের সঙ্গে পরিচয় এবং বিয়ে হয় তাদের। এটি আলিম ও মমতাজ উভয়েরই দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর দু’কাঠা জায়গা কিনে একটি বাড়িও তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর আলিম আবার মুর্শিদাবাদে চলে যায়। তখন মমতাজ গিয়ে ওঠে বাপের বাড়িতে। একটি কোম্পানিতে কাজে ঢোকে সে। মাসখানেক আগে আলিম আবার ফিরে আসে। ঠিকঠাকই চলছিল সব।

স্ত্রী যখন কাজ সেরে ফিরত, তখন তাকে বাইকে চেপে আনতে যেত আলিম। গতরাতেও তেমনই গিয়েছিল। কিন্তু মমতাজকে ছাড়াই বাড়িতে ফেরে আলিম। বাপের বাড়ির লোকেরা প্রশ্ন করায় বলে বাজার চত্বরে নেমে গিয়েছে। কিন্তু অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও যখন মমতাজ বাড়ি ফেরে না, তখন বাপের বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। আলিমকে চেপে ধরতেই বাপের বাড়ির লোকজনের কাছে মমতাজকে খুনের বিষয়টি স্বীকার করে নেয় সে। এরপরই পুলিশে খবর দেন বাড়ির লোকজন এবং অভিযুক্তকে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।