Fraud: শাসক নেতাদের সঙ্গে ছবি, মহিলাদের ঋণের লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে বেপাত্তা ব্যক্তি

Fraud: এক বছরের বেশি সময় ধরে সাধারণ মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে নথিতে সই করিয়ে এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযুক্ত সবিতা বারুই ও নিখিল সরকার। যাঁদের নামে ঋণ নেওয়া হয়েছিল, এই টাকা তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অথচ সময়মতো সেই টাকা ব্যাঙ্কে পরিশোধ করা হয়নি কিংবা যাঁদের নামে ঋণ করা হয়েছে, তাঁদের ফেরত দেওয়া হয়নি।

Fraud: শাসক নেতাদের সঙ্গে ছবি, মহিলাদের ঋণের লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে বেপাত্তা ব্যক্তি
পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ মহিলাদেরImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jun 03, 2025 | 8:10 PM

কলকাতা: বিধায়ক এবং একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে তাঁর ছবি। অভিযোগ, শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে মহিলাদের কাছ নামে ঋণের ১১ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছেন এক ব্যক্তি। নিখিল সরকার নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের। প্রতারিত মহিলাদের অভিযোগ, প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি।

মাইক্রো ফাইন্যান্স থেকে মহিলাদের নামে ঋণ করিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে নিখিল সরকার ও এক মহিলা এজেন্টের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ দমদম পৌরসভার প্রমোদনগর কলোনির তেরো জন মহিলার নামে ঋণ নিয়ে ১১ লক্ষ টাকা-সহ উধাও অভিযুক্ত ব্যক্তি। যেসব মহিলার নামে ঋণ নেওয়া হয়েছে, এখন তাঁরা দিশেহারা অবস্থায় রয়েছেন।

অভিযোগ, এক বছরের বেশি সময় ধরে সাধারণ মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে নথিতে সই করিয়ে এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযুক্ত সবিতা বারুই ও নিখিল সরকার। যাঁদের নামে ঋণ নেওয়া হয়েছিল, এই টাকা তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অথচ সময়মতো সেই টাকা ব্যাঙ্কে পরিশোধ করা হয়নি কিংবা যাঁদের নামে ঋণ করা হয়েছে, তাঁদের ফেরত দেওয়া হয়নি।

প্রতারিতরা বলছেন, তাঁদের যে নথি নেওয়া হয়েছে, তা তাঁদের স্বামীরা জানতেন না। কিন্তু, ব্যাঙ্কের তরফে ঋণ পরিশোধের চিঠি পাঠানোর পরই বিষয়টি জানতে পারে পরিবার। ৩-৪ জন মহিলার স্বামী তাঁদের ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। ওই এলাকার সাধারণ মানুষ দিন আনে দিন খায় অবস্থায় জীবন যাপন করেন। তাঁদের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতারিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই বিষয় নিয়ে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। অভিযোগ, তাতে কোনওই কাজ হয়নি।

অভিযুক্ত নিখিল সরকার গত কয়েকমাস ধরে বেপাত্তা। প্রতারিতদের অভিযোগ, নিখিল সরকারকে বিভিন্ন সময় শাসকদলের নেতাদের পাশে দেখা গিয়েছে। এলাকায় তিনি তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতেন তিনি। তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এদিন তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান প্রতারিত মহিলারা।

নিখিল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর গোপা পান্ডে বলেন, “আমরা বিষয়টা জানতাম না। পরে স্থানীয়রা অভিযোগ করার পর পুলিশকে সব জানাই। পুলিশ বিষয়টা দেখছে। দোষ করলে কেউ ছাড়া পাবে না। আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশে রয়েছে। কিন্তু, আইন তো হাতে তুলে নিতে পারি না।” অভিযুক্ত তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, যাঁরা এমন অভিযোগ করছেন, তাঁরাই জানেন।