কলকাতা: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দমদমে (Dumdum) এক তান্ত্রিকের বাড়িতে হানা দিল বন দফতর। আর সেই তান্ত্রিকের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল একের পর এক বন্য প্রাণীর দেহাংশ। এমনকী মানুষের মাথার খুলিও উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় দমদম প্রাইভেট রোডের আমবাগান এলাকায় ওই তান্ত্রিকের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে দিন। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে এদিন হানা দিয়েছিলেন আধিকারিকেরা। তন্ত্র-মন্ত্রের সব ব্যবস্থা ওই ঘরে করা আছে বলেও জানিয়েছেন অফিসাররা।
এদিন ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর পরিমান বন্য জীবজন্তুর ছাল, অস্থি। বেআইনি ভাবে এগুলো মজুত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। নাগেরবাজার থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই এদিন তল্লাশি শুরু করে বন দফতর। উদ্ধার হয়েছে সাদা ও কালো হরিণের ছাল, বাঘের নখ ও দাঁত, মানুষের মাথার খুলি, এছাড়াও একাধিক পাখির দেহাংশ।
মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরীকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। জ্যোতিষ ও তন্ত্র সাধনার নামে বেআইনি দ্রব্য বাড়িতে রাখার অভিযোগে এদিন মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হলেন রাখাল চৌধুরী, দুলাল অধিকারী ও অরিজিৎ গুপ্ত। সৌরভের বাবা রাখাল চৌধুরীর নামে এই বাড়ি। দীর্ঘ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে তাঁরা এখানে বসবাস করছেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সে ভাবে মেলামেশা করতেন না ওই বাড়ির কোনও সদস্য। বাড়িতে তন্ত্রসাধনা চলত বলেও জানা গিয়েছে। সৌরভের স্ত্রী মিঠু চৌধুরী বিষয়টি পুলিশ ও তার আইনজীবীকে জানায়। রাখাল চৌধুরীর বাড়ি ছাড়াও দুলাল অধিকারীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে বন্য জীবজন্তুর চামড়া। ধৃতরা চোরাচালান কারবারের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ এবং বন দফতর।