SIR in Bengal: ক্যামেরা দেখেই দৌড়! SIR চালু হতেই পরপর ফাঁকা হচ্ছে নিউটাউনের ঝুপড়ি

SIR in Bengal: কেন এভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা? জানা যাচ্ছে, রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ইকোপার্ক সংলগ্ন ঘুনি উত্তর মাঠে হিডকো-র অধিগৃহীত জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন অনেকে। বাকি বাসিন্দাদের প্রশ্ন করে জানা গেল, বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন তাঁরা। অনেকেই এদেশে এসে ভোটার কার্ড বানিয়ে নিয়েছেন, দিচ্ছেন ভোটও। তাহলে হঠাৎ পালালেন কেন?

SIR in Bengal: ক্যামেরা দেখেই দৌড়! SIR চালু হতেই পরপর ফাঁকা হচ্ছে নিউটাউনের ঝুপড়ি
ঝুপড়িতে পড়ছে তালাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 05, 2025 | 5:09 PM

কলকাতা: বিরোধীরা বারবার বলেছেন, এসআইআর শুরু হলেই চিহ্নিত করা যাবে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের। এমন অনেক বাংলাদেশিকেও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সম্ভব হবে বলে সওয়াল করেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এবার রাজ্যে এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দেখা গেল, ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ঘর। তালা পড়ছে ঝুপড়িতে। ক্যামেরা দেখেই কার্যত পালিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ।

কোনও সীমান্তবর্তী এলাকা নয়, খাস কলকাতার উপকন্ঠে দেখা গেল এই ছবি। নিউটাউনে ‘সিটি সেন্টার ২’ শপিং মলের ঠিক পিছনে আটঘড়া পূর্ব পাড়ায় গিয়ে দেখা গেল সেই ছবি। কেউ বাড়ি ছেড়েছেন মাসখানেক আগে, কেউ সপ্তাহখানেক আগে। বাংলাদেশ থেকে এসে বলতি গড়েছিলেন তাঁরা। বুধবার সেই কলোনিতে TV9 বাংলার প্রতিনিধিরা পৌঁছতেই বাড়ি ছেড়ে দে দৌড়! সংকীর্ণ রাস্তা ধরে চলে গেলেন অনেকেই। বাড়িতে পড়ে রইল পোশাক, উনুন, খেলনা।

কেন এভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা? জানা যাচ্ছে, রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ইকোপার্ক সংলগ্ন ঘুনি উত্তর মাঠে হিডকো-র অধিগৃহীত জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন অনেকে। বাকি বাসিন্দাদের প্রশ্ন করে জানা গেল, বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন তাঁরা। অনেকেই এদেশে এসে ভোটার কার্ড বানিয়ে নিয়েছেন, দিচ্ছেন ভোটও। তাহলে হঠাৎ পালালেন কেন? ‘এসআইআর হচ্ছে বলে’, উত্তর দিলেন তাঁরা।

ভারতীয় সচিত্র নাগরিক পরিচয় পত্র থাকা সত্ত্বেও রাতের অন্ধকারে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে, এমনটাই এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদেরও অকপট স্বীকারোক্তি যে, বেশ কয়েকটি পরিবার ভোটার কার্ড থাকা সত্ত্বেও এসআইআর আতঙ্কে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ওই এলাকায় এমন অন্তত ১০টি পরিবারের কথা জানা যাচ্ছে।

জোনাকি বিবি এবং রঞ্জু বিবি নামে দুজন বাংলাদেশি গৃহ সহায়িকার কাজ করতেন। তাঁরা এ রাজ্য ছেড়ে রাতের অন্ধকারে কোথায় গিয়েছেন, কেউ বলতে পারছেন না। প্রতিবেশী মহিমা খান জানালেন, চার-পাঁচ দিন আগেই রাতের অন্ধকারে এরা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন।

তৃণমূল নেতা মহম্মদ আফতাব উদ্দিন বলেন, “গোটা দশেক পরিবার চলে গিয়েছে। জানিনা কোথায় গিয়েছে। যারা এখানে ৩০ বছর ধরে আছে, এরকম মানুষও আতঙ্কে চলে যাচ্ছে।” অন্যদিকে, বিজেপির বক্তব্য, এসআইআর হওয়ায় রাজ্যবাসী খুশি। বিজেপি নেতা স্বপন রায়চৌধুরী বলেন, “নিউ টাউনের মতো এলাকায় বসতি বসিয়েছে শুধু ভোটে জেতার জন্য।”