
কলকাতা: একটা আস্ত মানুষ না ঢুকলেও, হাঁটু পর্যন্ত ঢুকে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কলকাতা জনবহুল রাস্তা। চারপাশে নগরায়নের ছোঁয়া। আর সেই চোখ ধাঁধানো নগরায়নের মাঝে নজর কেড়েছে রাস্তার ধস।
কলকাতার পার্কস্ট্রিট। অ্যালেন পার্কের সিগন্যাল। আর সেই সিগন্যালের কাছেই একেবারে মোড় মাথায় রাস্তায় নেমেছে ধস। আস্ত নগরায়নের মাঝে রাস্তাজুড়ে ‘নজর কেড়েছে’ সেই বিরাট গর্ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনুমানিক রাত ৯টা নাগাদ সেই ধস হয়। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভা দু’জন আধিকারিক এসে ধস পরিদর্শন করে গিয়েছে।
যে সময় ঘটনাটি ঘটে, তখন ওই রাস্তায় তেমন কোনও যান চলাচল না হওয়ায় বড় বিপত্তি থেকেও রেহাই পাওয়া গিয়েছে। একাংশের মত, শনিবার বলেই হয়তো কানঘেষে বড় দুর্ঘটনা বেরিয়ে গিয়েছে। তবে এই ঘটনা যে প্রথম এমনটা মোটেই নয়। এর আগেও ওই একই জায়গায় মাঝারি আকৃতির একটি গর্ত তৈরি হয়েছিল। যা সাময়িক ভাবে পিচ ঢেলে ঠেকনা দেওয়া হলেও, শনিবার যে সেই ‘আবরণই’ ভেঙে পড়ে।
উল্লেখ্য, সামান্য বৃষ্টিতে কখনও রাস্তা উধাও, কখনও বা উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ। বেহালা থেকে বাইপাস, কাশীপুর থেকে গড়িয়া শহরের প্রতিটা জায়গায় রাস্তার ছবি বেহাল। আর সেই নিয়ে অভিযোগ কম নয়। যে তালিকায় নব্য সংযোজন ধস। অবশ্য, এই নিয়ে কিন্তু আগেই যুক্তি দিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সপ্তাহ খানেক আগেই তিনি বলেছিলেন, ‘রাস্তার নীচে গঙ্গার নরম মাটি থাকায় বৃষ্টি হলেই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।’ পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণেও রাস্তার কাজ করানো সম্ভব হচ্ছে না। একটানা পাঁচদিন রোদ পেলেই শহরের সব রাস্তা সারানো যাবে।’