কলকাতা: ফের আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটার সম্ভাবনা রাজ্যের। জারি হতে পারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আবারও বিধিনিষেধ। বন্ধ হতে পারে রাজ্যের মেলাগুলি। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে এই বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর। শনিবারই করোনা বাড়ায় আপাতত সব মামলা ভার্চুয়ালি হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। শুধু কলকাতা হাইকোর্ট নয়, রাজ্যের সমস্ত জেলার আদালতের জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এমনকী জলপাইগুড়ির যে সার্কিট বেঞ্চ রয়েছে তাও আপাতত বন্ধ থাকছে।
১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘স্টুডেন্টস উইক’ ঘোষণা করেছে রাজ্যে সরকার। তারই অঙ্গ হিসেবে ৩ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও থাকার কথা ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। তাহলে কি ফের আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে বিভিন্ন মহলে।
শুধু ‘স্টুডেন্টস উইক’-এর অনুষ্ঠানই বাতিল নয়। রবিবার থেকে দুয়ারে সরকারের কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল রাজ্য সরকারের। গোটা রাজ্যে এবার ৮০০০০টি শিবির হওয়ার কথা ছিল। রাজ্য সরকার আপাতত দুয়ারে সরকার কর্মসূচিও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দুয়ারে সরকার থেকে ২৪টি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল রাজ্যবাসীর। কিন্তু যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তা এই মুহূর্তে এই ধরনের শিবির শুধু মারাত্মক নয় প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে বলেই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
* বন্ধ হতে পারে স্কুল, কলেজ।
* বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বার, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল।
* কমানো হতে পারে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা।
* নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে রাজ্যের মেলাগুলিতে।
যেভাবে ওমিক্রন থাবা বসাচ্ছে গোটা দেশে, যে হারে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেইদিকে খেয়াল রেখে এবার কিছুটা রাশ টানার সম্ভাবনা রয়েছে নবান্নের। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবারই সামনে এসেছে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর।
কিন্তু বছর শেষ কিংবা নতুন বছর বরণের অনুষ্ঠান-উদযাপনে রাজ্যে সরকারের তরফে সে অর্থে বিধিনিষেধের কোনও কড়াকড়ি না থাকায় হাজার হাজার মানুষ পথে নেমেছেন। ইকোপার্ক, চিড়িয়াখানায় জনতার ঢল। কোলে বাচ্চা, মুখে নেই মাস্ক! বলছেন, দম আটকে আসে, তাই বেরোনো। সিংহভাগ মানুষের মধ্যে কোনও সচেতনতা না থাকায় হতে পারে সোমবার থেকেই হয়ত আবারও বিধিনিষেধের কড়াকড়ির মধ্যে পড়তে হবে রাজ্যকে।
আরও পড়ুন: Corona: স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে সংক্রমণ! এবার করোনা আক্রান্ত চিত্তরঞ্জন ন্যাশনালের অধ্যক্ষ