
কলকাতা: দক্ষিণ দমদম থেকে ঠাকুরপুকুর, এদিনই শহরের দুই প্রান্তে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দুজনই ডেঙ্গির কবলে পড়েছিলেন বলে খবর। কলকাতা ডেঙ্গি আক্রান্তদের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। রাজ্যে সেই সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে কলকাতা এবং দমদমে আরও ২ জনের মৃত্যু বেড়েছে উদ্বেগ। একই অবস্থা জেলাগুলিরও। এই বিপর্যয় ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা কলকাতা এবং শহরতলির পুরসভাগুলির। তারপরও গুরুত্ব কোথায় ডেঙ্গি নিরাময়ে? সবকিছু ছেড়ে মেয়র, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যানরা ছুটেছেন দলীয় নির্দেশে দিল্লিতে। কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইতে। কিন্তু এই সঙ্কটজনক অবস্থাতেও কেন কোনও হুঁশ নেই প্রশাসনের কর্তাদের? প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। চলছে রাজনৈতিক তরজা।
শহর থেকে মফঃস্বল, গ্রাম সর্বত্রই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান আবার এও বলছে, সিংহভাগ আক্রন্তই গ্রাম বাংলার। সোজা কথায় পুজোর আগে ডেঙ্গি রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যজুড়েই। দক্ষিণ দমদম পৌরসভা ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাঙুর শ্যামাপ্রসাদ কলোনির বাসিন্দা শ্যামলী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৫৮) মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয় ঠাকুরপুকুরের ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বাঁচারপাড়া এলাকার বাসিন্দা পরেশ সাউয়ের। কলকাতার পাশাপাশি ডেঙ্গির দাপট বেড়েছে মুর্শিদাবাদেও। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার কাছারিপাড়ার বাসিন্দা তিনকড়ি সাহা এদিন মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।
অসমর্থিত সূত্রে খবর, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরইমধ্যে ডেঙ্গির জল এবার গড়িয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ডেঙ্গির বাড়াবাড়ি নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন সঞ্জীবকুমার মুখোপাধ্যায় নামে এক চিকিৎসক। এই সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।