
কলকাতা:
চাকরিহারাদের একাংশের আবেদন শুনে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, নিয়োগের প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে পরীক্ষার দিন বদল করার কথা রাজ্য ভাবতে পারে বলেও উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত। প্রাথমিকভাবে ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়েছে। আপাতত সেই দিন বদল হচ্ছে না বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ৭ সেপ্টেম্বর নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এছাড়া আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। দু’দিনের পরীক্ষায় অংশ নিতে চলেছেন মোট ৫ লক্ষ ৮০ হাজার পরীক্ষার্থী। শুক্রবার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে নবান্নে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জেলা প্রতি একজন অতিরিক্ত জেলাশাসক পদমর্যাদার আধিকারিককে পুরো পরীক্ষার তত্ত্বাবধানে রাখা হবে। এছাড়া প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার সরকারি আধিকারিক। তাঁর দায়িত্বেই নজরদারি চলবে।
সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার মৌখিক নির্দেশে জানিয়েছিল এসএসসি মনে করলে পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে পারে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হলে সেপ্টেম্বরের নির্দিষ্ট দিনেই পরীক্ষা নিতে হবে বলে প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন।
সেপ্টেম্বরের শেষে দুর্গাপুজোর ছুটি রয়েছে। ফলে পরীক্ষার দিন পিছনো হলে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যাবে।
চাকরিহারাদের একাংশ দাবি করেছিল, তারা সুপ্রিম কোর্টে পুনর্বিবেচনার আর্জির রায়ের অপেক্ষায় ছিল, তাই ফর্ম ফিল আপ করেনি। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অযোগ্য নয়, এমন সব প্রার্থীদের বসার সুযোগ দিতে আরও ১০ দিন আবেদনের সময়সীমা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি মৌখিক নির্দেশ ছিল, প্রয়োজন পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে পারে এসএসসি বা রাজ্য।