
কলকাতা: প্রায় তিন দিন অতিক্রান্ত। এখনও পুলিশের হাতে ধরা পড়ল না গুলশান কলোনিতে বোমা-গুলি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ফিরোজ খান। পুলিশ তার খোঁজ না পেলেও নিজের গোপন ঠিকানায় বসে একের পর এক পোষ্ট করেই চলেছে ফিরোজ। আগেই পোস্ট করেছিল রিল। শনিবার রাতে ফের সমাজমাধ্যমে আরও একটি পোস্ট করে। যেখানে ফিরোজ দাবি করেছে, গোটা ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। গুলি চালানো হয়েছে বা বোমা যে মারা হয়েছে, তা নাকি পুরোটাই সাজানো।
এলাকা ফাঁকা অথচ বোমা মারা হচ্ছে! ভিডিয়োতে একরাশ বিস্ময় প্রকাশ করে এটা সম্পূর্ণ নাটক বলে দাবি ফিরোজের। এছাড়াও, ফিরোজ একাধিক ইস্যুতে নিজের সমাজমাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধেও। তার দাবি, সুশান্ত নির্বাচনের সময় তাকে ব্যবহার করেছে। ভোট গুলশান কলোনির থেকে তার ঝুলিতে আনতে এখানে-সেখানে দৌঁড় করিয়েছে। এখন নিজের উদ্দেশ্যে পূরণ হয়ে গিয়েছে, তাই তাকে সমাজবিরোধী বলা হচ্ছে। এলাকায় যাতে বেআইনি কার্যকলাপ অত্যন্ত মসৃণ পথে সুশান্ত ঘোষ করতে পারে তার জন্যই পরিকল্পনা করে তাকে এলাকাছাড়া করাতে চাইছে বলেও দাবি ফিরোজের।
সোজা কথায় গোটা ভিডিয়োতেই সুশান্তের বিরুদ্ধে তোপের পর তোপ দেগেছে ফিরোজ। তীব্র কটাক্ষ করে বলে, “এই ওয়ার্ড ১০৭ নয় যে, কারও পেছনে আপনি লাগাবেন, আর সে ভয় গুটিয়ে যাবে। এটা ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড। এটা মাথায় রাখবেন। এমন এমন জায়গায় ফাইল তৈরি করে রেখেছি, প্রয়োজনে সেগুলি সব বের করে দেব।” এখানেই না থেমে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, “আমার পিছনে লাগতে আসবেন না। আমি আপনার থেকে অনেক বেশি ঘোরেল। আপনি পিছনে লাগতে এলে আমি কী করতে পারি আপনি জানেন না। আমার সঙ্গে সোজা ভাষায় কথা বলবেন, আমিও সোজা ভাষায় কথা বলব। কিন্তু আমার সঙ্গে বেশি বাড়াবাড়ি করতে চাইলে, আমি কী করব সেটা আপনি জানেনও না।”
যদিও এই বক্তব্যগুলি পোস্ট করলেও পুলিশ কেন এখনও তার ঠিকানা ট্র্যাক করতে পারল না, সেই প্রশ্নই উঠছে। তাহলে কি শাসকদলের কোনও বড়সড় নেতার হাত থাকাতেই পুলিশ নিজেকে নিষ্ক্রিয় রাখছে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরেফিরে করছে বিরোধীরা।