কলকাতা: প্রায় তেইশ বছর পর বক্সার (Buxar Forest) জঙ্গলে দেখা মিলেছে বাঘের (Tiger)। ট্র্যাপ ক্যামেরায় দেখা মিলেছে সেই বাঘের ছবি। এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, “২৮ বছর বাদে আমাদের অনেকে সমালোচনা করেছিল। অনেকে আমাদের সমালোচনা করেছিলেন যে বক্সা তার স্টেটাস হারিয়েছে। না, বক্সা তার স্টেটাস হারায়নি। মুখ্যমন্ত্রী সবথেকে বেশি প্রোটেকশন দিয়েছেন অ্যানিমেলদের। কোনও এনিমেলদের যেন মারা না হয়”।
মন্ত্রী জানান, বক্সায় ১০ দিনের জন্য জঙ্গল সাফারি বন্ধ করা হয়েছে। কারণ, সেখানে বাঘের দেখা মিলেছে। সেখানে পর্যাটকরা যেতে পারবেন। তবে সাফারি বন্ধ থাকছে।নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি যোগ করেন, “মনে করা হচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। আরও আছে বলে অনুমান। সেই বিষয়ে আরও অবস্থান জানতে ইতিমধ্যেই একটি বড় টিম পাঠানো হয়েছে (বক্সায়)”।
রবিবার সল্টলেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, “বক্সায় জঙ্গলে যে ছাপ পাওয়া গিয়েছে সেটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মনে করা হচ্ছে। এর আগে লালগড়ে পাওয়া গিয়েছে। এখন আবার এখানে দেখা যাচ্ছে। যে কোনও কারণে ওখানে অবস্থান করছে। ওই জায়গার মানুষকে প্রটেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ওই জায়গা থেকে মানুষকে স্বেচ্ছায় তুলে আনতে হবে। এই মুহূর্তে নেট সিস্টেম আরম্ভ করে দেওয়া হচ্ছে। নেট সিস্টেম গুলো করে যদি বস্তিগুলোকে তুলতে পারি”।
জ্যোতিপ্রিয় যোগ করেন, “বাঘের একটু ক্যালকুলেশন করছি। শুমারি করব যে বাঘ কত আছে ওখানে। মেল ফিমেল কত আছে। কোন প্রজাতির আছে। অসমের এক রকম প্রজাতির বাঘ আছে, তারা ভিতর দিয়ে ঢুকে যায়। সেটাও দেখতে হবে। সেটা কত আছে। বস্তির লোকেদের জন্য নেট দিয়ে ঘিরে দেওয়ার চেষ্টা করছি। সাবধানতা অবলম্বন করে রাখছি। ট্যুরিস্টদের যাওয়া বন্ধ করা হয়নি। বাংলো বুকিংয়ে তাঁরা যাবেন। শুধু জঙ্গল সাফারিটা সাতদিনের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে।”
মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রচুর পুলিশ নিয়োগ করা হচ্ছে। নিরাপত্তায় ফরেস্ট গার্ডরাও রয়েছেন। শিলিগুড়ি ইনচার্জ তিনি একটা বড় টিম নিয়ে গিয়েছেন বক্সারে। আশেপাশের জঙ্গল থেকে গরুমারার জঙ্গল, হলং জলদাপাড়া থেকে বিট রেঞ্জাররাও যাচ্ছেন। সবাই বক্সা টিমের সঙ্গে কাজ করবে।
বনমন্ত্রীর কথায়, “বক্সা হলো ডিপ ফরেস্ট। বক্সা হলো বিগেস্ট ফরেস্ট। একদিকে ভুটান, একদিকে চলে গিয়েছে অসম, আমাদের দিকে একটা বিশাল অংশ পড়ে গিয়েছে। অবশ্যই সুখবর, আনন্দের খবর। ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের কাছে আনন্দের খবর। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আনন্দের খবর। সবই আনন্দিত। ২৮ বছর বাদে আমাদের অনেকে ক্রিটিসাইজ করেছিল। অনেকে আমাদের সমালোচনা করেছিলেন যে বক্সা তার স্টেটাস হারিয়েছে। বক্সার তার স্টেটাস হারায়নি। মুখ্যমন্ত্রী সবথেকে বেশি প্রোটেকশন দিয়েছেন অ্যানিমেলদের। কোনও অ্যানিমেলকে যেন মারা না হয়। সেজন্য আমরা মানুষকে সচেতন করব, সচেতন করব গ্রামবাসীদের”।