100 days work: আদালতের নির্দেশের পরও বাংলায় কেন আটকে ১০০ দিনের কাজের টাকা? সংসদে জবাব দিলেন মন্ত্রী
Centre on 100 days work in West Bengal: একশো দিনের কাজ নিয়ে লোকসভায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে একাধিক প্রশ্ন রাখেন চার তৃণমূল সাংসদ। মালা রায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কীর্তি আজাদ এবং সৌগত রায়। তাঁরা জানতে চান, কেন্দ্র কি রাজ্যকে একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে? পশ্চিমবঙ্গ-সহ কোন রাজ্যে কত টাকা বাকি রয়েছে? সুপ্রিম কোর্ট যদি রাজ্যে একশো দিনের কাজ ফের শুরুর নির্দেশ দিয়ে থাকে, তাহলে বকেয়া টাকা কবে দেবে কেন্দ্র?

কলকাতা ও নয়াদিল্লি: রাজ্যের প্রাপ্য ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। আদালতের নির্দেশের পরও টাকা দিচ্ছে না। এই নিয়ে সরব হয়ে এবার সংসদে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদরা। আদালতের নির্দেশের পরও টাকা আটকে রাখার কারণ জানতে চাইলেন তাঁরা। মঙ্গলবার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদদের প্রশ্নের লিখিত জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কমলেশ পাসওয়ান। কী জবাব দিলেন তিনি?
একশো দিনের কাজ নিয়ে লোকসভায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে একাধিক প্রশ্ন রাখেন চার তৃণমূল সাংসদ। মালা রায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কীর্তি আজাদ এবং সৌগত রায়। তাঁরা জানতে চান, কেন্দ্র কি রাজ্যকে একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে? পশ্চিমবঙ্গ-সহ কোন রাজ্যে কত টাকা বাকি রয়েছে? সুপ্রিম কোর্ট যদি রাজ্যে একশো দিনের কাজ ফের শুরুর নির্দেশ দিয়ে থাকে, তাহলে বকেয়া টাকা কবে দেবে কেন্দ্র?
এদিন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদদের প্রশ্নের লিখিত জবাব দেন কমলেশ পাসওয়ান। সেখানে তিনি জানান, হাইকোর্ট বাংলায় একশো দিনের কাজ ফের শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ কীভানে কার্যকর করা যায়, তা খতিয়ে দেখছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। বাংলায় একশো দিনের টাকা আটকে রাখার কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশ পালন করেনি রাজ্য। তাই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট, ২০০৫-র ২৭ ধারা অনুসারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ২০২২ সালের ৮ মার্চের হিসেবে অনুসারে, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ৩০৮২. ৫২ কোটি টাকা পাবে পশ্চিমবঙ্গ।
এদিকে, এদিনও একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একশো দিনের কাজে দেশের এক নম্বরে ছিল রাজ্য। তারই টাকা আটকে রেখে কেন্দ্র রাজ্যের সঙ্গে বঞ্চনা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
