
কলকাতা: কখনও দাবি করছেন, সন্তান চাহিদা মেটাতে, কখনও আবার বলছেন, নিজের কাছে নিয়ে গিয়ে রাখার কথা। ঠিক কারণে দমদম মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই নাবালিকাকে অপহরণ, তার সঠিক উত্তর দিচ্ছেন না অভিযুক্ত অধ্যাপিকা।
সোমবার সকালে কসবা থানা এলাকা থেকে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের ভৌতবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা অরুণিমা চন্দকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালিকা অপহরণের অভিযোগেই ওই অধ্যাপিকা-সহ তাঁর মেয়ে ও ভাইকেও গ্রেফতার করে সিঁথি থানার পুলিশ। কিন্তু এমন একটি ‘ঘৃণ্য’ ঘটনার সঙ্গে কীভাব একজন অধ্য়াপিকা জড়িয়ে পড়লেন? সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ গত শুক্রবার ওই নাবালিকাকে ডাব খাওয়ানোর প্রলোভনে অপহরণ করেন অধ্যাপিকার মেয়ে। সেই সময় তিনি সেখানে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কোনও রকম ভাবেই প্রতিরোধ করেনি। যার জেরে রীতিমতো ধন্দে পুলিশও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই নাবালিকা-সহ মোট চার সন্তানকে নিয়ে দমদম মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন চাতাল এলাকার ফুটপাথেই থাকতেন তাদের মা-বাবা। দিনশেষে তিন সন্তান ঘরে ফিরে এলেও, ফেরেনি ওই নাবালিকা। ফলত, দুশ্চিন্তা মাথায় হন্যে হয়ে চারপাশে খোঁজা শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু কোনও ভাবেই মেয়ের হদিশ না পেয়ে তাঁরা দ্বারস্থ হন পুলিশের কাছে শুরু হয় তদন্ত। সিসিটিভি ফুটেজ ধরে মেলে সমাধান সূত্র। উদ্ধার করা হয় ওই নাবালিকাকে। গ্রেফতার হন তিন জন।
সোমবার অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হবে। হেফাজতে চেয়েই আবেদন জানাবে পুলিশ। আর তার আগেই ওই অধ্যাপিকাকে কয়েক দফা জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় বিভিন্ন দাবি করেছেন তিনি। কখনও বলেছেন, তাঁর মেয়ে অনুষ্কা চন্দ চৌধুরীর কোনও সন্তান নেই। ওই নাবালিকাকে তাদের পছন্দ হয় তাই তাকে নিয়ে বাড়ি চলে যায় তাঁরা। কখনও আবার দাবি করেছেন, এমনিই নিজেদের কাছে রেখে দিতে সেদিন ওই নাবালিকাকে নিয়ে গিয়েছিল তাঁরা। তবে অভিযুক্তের সমস্ত দাবিই বেশ অস্পষ্ট। কলকাতার বুকে কোনও শিশু পাচার চক্র মাথা চাড়়া দিচ্ছিল কিনা অথবা শিশুশ্রমের উদ্দেশ্যে তারা নাবালিকাকে অপহরণ করেছিল কিনা, সেই দিকগুলোও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।