কলকাতা: কয়েক দিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধেয় ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে এ দিন সকালে বুদ্ধবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ফের বড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মীরাদেবীর বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
২৪ ঘন্টা আগেই করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন বুদ্ধ জায়া। তবে তাঁকে নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন ডাক্তাররা। মনে করা হচ্ছে বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়াতেই চিন্তা বেড়েছে মীরা দেবীর। শারীরিক ভাবেও এখনও বেশ দুর্বল তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, করোনা মুক্ত হলেও শারীরিক ভাবে তিনি এখনও বেশ দুর্বল। তাই ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এ দিন সকালে হঠাৎই অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় বুদ্ধবাবুর। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়। এরপরেই ডাক্তাররা তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। উডল্যান্ড হাসপাতালের ৩১৩ নম্বর ঘরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে বুদ্ধবাবুর বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও চিন্তার কিছু নেই বলেই জানাচ্ছেন ডাক্তাররা। তাঁর ফুসফুসে নানা সমস্যা ধরা পড়ছে। মঙ্গলবার প্রথম বুলেটিনে এমনটাই জানিয়েছেন উডল্যান্ডস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, বুদ্ধবাবুর বুকের সিটি স্ক্যান হয়েছে। আগে থেকেই যেহেতু তাঁর সিওপিডির সমস্যা রয়েছে, সবদিক নজর রেখেই চিকিৎসা এগোবে।
আরও পড়ুন: কন্ট্রোল রুমে অতন্দ্র প্রহরী মমতা, ‘কেউ ঘর থেকে বেরোবেন না’, পইপই করে আবেদন রাজ্যবাসীকে
ইতিমধ্যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসাতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডের মাথায় রয়েছেন কৌশিক চক্রবর্তী। এছাড়াও রয়েছেন চিকিৎসক সৌতিক পাণ্ডা, অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায়, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল প্রমুখ। এ দিন সকালে বুদ্ধবাবু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই মীরাদেবীকে ফোন করে আশ্বস্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।