কলকাতা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগ বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এই মর্মে ইতিমধ্যেই বউবাজার থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে অভিযোগকারী নিজের নামও গোপন রেখেছে।
গত ২৭ অক্টোবর বউবাজারে বিজেপির একটি কর্মিসভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রেখেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুন বলেন, “আমাদের এখানে এক নেতা, বলেছিলেন, ৭০ শতাংশ মুসলিম, ৩০ শতাংশ হিন্দু, ভাগীরথীতে কেটে ভাসিয়ে দেব। আমি ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী কিছু তো বলবেন। এরকম কথা বলতে বারণ করবেন। কেউ বারণ করেননি। আমি মুখ্যমন্ত্রী নই। তবুও বলব, তুমি কেটে ভাগীরথীতে ভাসাবে, কিন্তু একদিন এমন আসবে, যেদিন আমি তোমাকে ভাগীরথীতে নয়, কারণ ভাগীরথী আমাদের মা হয়, তোমাকে তোমার জমিতেই ফেলে দেব।”
প্রসঙ্গত, ভরতপুরে এক কর্মিসভায় তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির বলেছিলেন, “দেখি কত ধানে কত চাল হয়! ২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীর গঙ্গায় না ফেলতে পারি, তাহলে এখান থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। ৩০ শতাংশ তোমরা মুর্শিদাবাদ জেলায়, আর আমরা ৭০ শতাংশ।” বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিতে তৃণমূল নেতা এহেন মন্তব্য করেছিলেন।
তারই পাল্টা বিজেপির সভা থেকে হুঁশিয়ারি দেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই মিঠুনের বিরুদ্ধে বউবাজার থানায় এফআইআর দায়ের হয়।
এপ্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ হওয়া উচিত ছিল ঠিক হয়েছে , পুলিশ তদন্ত করুক। মিঠুন চক্রবর্তীকে অভিনেতা হিসেবে আমি সম্মান করি। কিন্তু উনি ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের সময়ে আমার বক্তব্যের পাল্টা অমিত সাহা বা রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সামনে যেভাবে আমার সম্প্রদায়কে বা আমাকে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। দলে টিআরপি বাড়ানোর জন্য এরকম বলেছিলেন তিনি এখন নিজেকে চল্লিশ বছরের যুবক ভাবছে। উনি হিরোগিরি দেখাচ্ছেন।”