কলকাতা: রাজভবন ও নবান্নের টানাপোড়নে থমকে ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণ। এখনও শপথবাক্য পড়া হল না তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের। ধূপগুড়ির ফল প্রকাশের পরদিন অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ সংক্রান্ত ফাইল রাজভবনে পাঠায় রাজ্যের পরিষদীয় দফতর। সূত্রের খবর, ১০ দিন কাটতে চলেছে, এখনও সে বিষয়ে রাজভবন কিছু জানায়নি।
সাধারণত, বিধায়কদের শপথের ক্ষেত্রে স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। তবে রাজ্যপাল চাইলে নিজেও শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। কিন্তু ধূপগুড়ির ক্ষেত্রে কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই মুহূর্তে রাজ্যপাল বাইরে রয়েছেন। দু’ তিনদিনের মধ্যে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ফিরলে বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে বলে আশা করছে পরিষদীয় দফতর।
তবে শপথপর্বে অহেতুক দেরি করার প্রয়োজন নেই বলেই মত প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনেকের। তাঁরা এ কথাও বলছেন, ফাইল রাজভবনে যাওয়ার পর থেকেই যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বাইরে, এমনটা নয়। ফলে চাইলে তৃণমূলের নব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিধায়ক হিসাবে শপথের ফাইলটি ছেড়ে দিতে পারতেন রাজ্যপাল বোস। তবে তা যখন হয়নি, এখন সময়ের অপেক্ষা।
ধূপগুড়ির উপনির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল শাসক-বিরোধী সবমহলের কাছেই। একুশের ভোটে এ আসন জিতেছে বিজেপি। উপভোটে প্রার্থী তালিকায় চমক রেখেছিল পদ্মশিবির। তবে বিজেপিকে হারিয়ে জয়ের হাসি হেসেছে তৃণমূলই। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে ৪ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন ধূপগুড়ির নির্মলচন্দ্র রায়। এক সময় দার্জিলিং কলেজে পড়াতেন। এখন ধূপগুড়ি গার্লস কলেজের অধ্যাপক তিনি। একইসঙ্গে সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতিও। শিক্ষকতার পাশাপাশি রাজবংশীদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চর্চা করছেন তিনি। বই লেখালেখি, পত্রিকা সম্পাদনাও করেন। এবার তিনি জনপ্রতিনিধিও। তবে ভোটে জিতলেও এখনও শপথ গ্রহণ করেননি। এখন তারই অপেক্ষায়।