কলকাতা: বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক চিঠিতেই কাজ হয়েছিল। তড়িঘড়ি সিএবি থেকে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট পৌঁছে গিয়েছিল বিধানসভায়। প্রত্যেক বিধায়ক পিছু একটি করে কমপ্লিমেন্টারি টিকিট এসেছিল। বিশ্বকাপের সামনে আরও দু’টি ম্যাচ রয়েছে ইডেনে। আগামিকাল পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচ। তারপর বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালও রয়েছে ইডেনে। এই দু’টি ম্যাচের জন্যও কমপ্লিমেন্টারি টিকিট পাচ্ছেন বিধায়করা। আগামিকালের পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচের জন্য টিকিট ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিধানসভায়।
তবে বিধায়করা বিশ্বকাপের ম্যাচের টিকিট পেলেও, বাংলার থেকে যে সাংসদরা রয়েছেন, তাঁদের অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নিজেই জানালেন সেকথা। বললেন, “আমাকে অনেক সাংসদই বলছিলেন, তাঁরা খেলার টিকিট পাচ্ছেন না, কিন্তু বিধায়করা পাচ্ছেন।” এক্ষেত্রে বাংলার সাংসদদের উদ্দেশে বিধানসভার স্পিকারের পরামর্শ, তাঁরাও যদি নামের তালিকা-সহ আবেদন করেন সিএবি-র কাছে, তাহলে তাঁরাও পেতে পারেন।
বিধানসভার অধ্যক্ষ এদিন আরও জানালেন, ১৬ তারিখ ইডেনে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের জন্য বিধায়কদের কম্প্লিমেন্টারি টিকিটও বিধানসভা থেকে বিলি করা হবে। ম্যাচের আগের দু’দিন ১৪ ও ১৫ তারিখ বিধানসভা বন্ধ থাকলেও বিধায়কদের টিকিট বিলি করার জন্য নির্দিষ্ট অফিস খোলা রাখা হবে। বিধায়করা নিজেরা এসে কিংবা তাঁদের অনুমোদিত কেউ এসে বিধানসভা থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “বিধানসভার নাকের ডগায় খেলা হবে। বিধায়করা সম্মানিত পদে রয়েছে, তাঁরা জনপ্রতিনিধি। তাঁদের তো নিশ্চয়ই টিকিট দেওয়া উচিত।” সিএবি থেকে বিধায়কদের জন্য টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা করায় সিএবি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদও জানালেন বিধানসভার স্পিকার।