কলকাতা: ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ফটোশুট শেষ হলে ছবি হাতে পাওয়ার কথা। ‘মডেলশুটে ‘ যেমনটা হয় আর কী! তবে খাস কলকাতা শহরে স্টুডিও-র অন্দরে যে এমনটা হয়, তা কল্পনাও করেনি নাবালিকা। প্রথমে ফটোশুট এগোচ্ছিল স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমন ‘আবদার’ করা হল, যাতে চমকে গেল নাবালিকা। পোশাক খুলে ফেলতে হবে! নাহলেই চড়! বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়ে এফআইআর দায়ের করেছে নাবালিকা। কী ব্যবস্থা নিল পুলিশ?
ফটোগ্রাফারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে প্রায় ২৮ দিন আগে। পকসো আইনে মামলাও রুজু হয়েছে। এখনও গ্রেফতার করা হয়নি অভিযুক্তকে। সূত্রের খবর, আজ বুধবার আগাম জামিন নিতে আলিপুর আদালতে যাবেন ওই অভিযুক্ত। তিনি সরশুনা শ্যামসুন্দর পল্লীর বাসিন্দা।
নাবালিকা জানিয়েছে, টপলেস শুট করানোর জন্য বাধ্য করা হয় তাকে। শাসানো হয়, ভয় দেখানোও হয়। সে বলছে, ৫০,০০০ টাকা দিয়ে ফেলেছিল আগেই। এরপর বলা হয় টপলেস শুট না করলে বাকি ছবিও দেওয়া হবে না। সে নিষেধ করলে জোর করে শুট করানো হয় বলেও অভিযোগ। নাবালিকা বলছে, ‘জামা না খুলতে চাইলে, আমাকে চড় মারা হয়, চুলের মুঠি ধরে টানা হয়।’ এরপরই গল্ফগ্রীন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সে।
শুধু এই নাবালিকা হয়, আরও এক মডেলও একই অভিযোগ জানিয়েছে গত অক্টোবর মাসে। তার থেকেই মনে করা হচ্ছে, একটি চক্র আছে, তারাই এভাবে নাবালিকা তথা উঠতি মডেলদের ফাঁসাচ্ছে। নাবালিকার আইনজীবী সুকান্ত বিশ্বাস জানান, হুমকি দিয়ে ফোন করা হচ্ছে নাবালিকাকে। বিভিন্ন নম্বর থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা হচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়। অভিযোগকারিণী মডেলের কাছে একটি বিশেষ ওয়েবসাইটের জন্য শুট করার প্রস্তাব আসে ওই অভিযুক্ত ফটোগ্রাফারের কাছ থেকেই। “উল্লু” নামক ওই সাইটের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কী এই “উল্লু?” অভিযোগকারিণী জানালেন তিনি নিজেও জানেন না । তবে এটা একটি পর্ন সাইট। যাঁরা নতুন মডেলিং করতে আসেন তাঁদের দিয়ে বিশেষ কয়েকটি স্টুডিয়োতে এই ধরনের শুট করা হয় বলে অভিযোগ।