
কলকাতা: রাজভবনে হঠাৎ হাজির অভিনেত্রী মুনমুন সেন। প্রায় তিরিশ বছর পর তিনি রাজভবনে এলেন। কিন্তু কেন? হঠাৎ কী দরকার? এই নিয়েই যখন জল্পনা তৈরি হল সেই সময় টিভি ৯ বাংলাকে পরিষ্কার জানালেন কেন রাজভবনে তিনি।
শনিবার রাজভবনের তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংশ্লিষ্ট সেই অনুষ্ঠানে নাটক দেখার জন্য গুণী মানুষদের আমন্ত্রণ করেন রাজ্যপাল বোস। এই নাটকটি রাজ্যপালের লেখা থেকে তৈরি। গল্পের নাম ‘চৌরঙ্গীর ফুল’। এখানে অভিনয় করেছেন শর্বরী মুখোপাধ্যায়। আর পরিচালনা করেছেন আবির সাহা। নয়াবাদ তিতাস নাট্যদল প্রযোজনা করেছে এটি।
নাটকটি দেখতে সমাজের সব স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী মুনমুন সেনও। তাই তাঁর ডাকেই সাড়া দিয়ে এ দিন রাজভবনে আসেন মুনমুন। তিনি আসার পর শুরু হয় নাটক। অভিনেত্রী বসে সবটা দেখেন। মূলত, এই নাটকটির তিনটি বিষয়বস্তু। ধর্ষণ, চাকরি ফেরতের স্লোগান ও তিলোত্তমার আন্দোলনের সময় লাল বাজারের সিপিকে যে মেরুদণ্ড তুলে দেওয়া হয়েছিল সেই বিষয়টিও দেখানো হয় এখানে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বক্তব্য, গণতন্ত্রের অংশ প্রতিবাদ। আর প্রতিবাদ যে এই নাটকটিতে প্রতিফলিত হবে সেইটাই স্বাভাবিক।
মুনমুন সেন বলেন, “আমি যখন স্কুলে পড়তাম সেই সময় রাজভবনের রাজ্যপালের এডিসিকে চিনতাম। প্রায় তিরিশ বছর পর আবার এলাম। এখানে নাটক দেখতে এলাম।” উল্লেখ্য, এক সময় রাজনীতির খাতাতেও নাম লিখিয়েছেন মুনমুন সেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন মুনমুন। সিপিএমের ৯ বারের সাংসদ বাসুদেব আচারিয়াকে হারিয়েছিলেন তিনি। বিপুল ভোট পেয়েছিলেন সে বার। সেই নির্বাচনী অভিজ্ঞতা যে মধুর ছিল, তাও এ দিন জানিয়েছেন মুনমুন। বলেছিলেন, “বাঁকুড়ায় খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছিল।” তবে ২০১৪ সালে জিতলেও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি মুনমুন। ২০১৯ সালে আসানসোল কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। বাবুল সুপ্রিয়ের কাছে সে বার হারেন তিনি। এরপর আর ভোটে দাঁড়াননি অভিনেত্রী।