কলকাতা: খেজুরি থেকে ফেরার পথে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর গাড়িতে হামলার অভিযোগ। সেই অভিযোগকে সামনে রেখে এবার আদালতের দ্বারস্থ বর্ষীয়ান সাংসদ। শিশির অধিকারীর গাড়িতে মঙ্গলবার হামলার অভিযোগ ওঠে। খেজুরি ব্লকে তিনি বোর্ড গঠনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর আদালতে মামলা দায়ের করার আবেদন জানানো হয়েছে। আদালত শুক্রবার শুনানির আশ্বাস দিয়েছে।
বুধবার শিশির অধিকারীর আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে মামলার উল্লেখ করেন। সেখানে বলা হয়, বোর্ড গঠন কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে শিশির অধিকারীর গাড়িতে হামলা করা হয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শিশির অধিকারী বলেন, “রাস্তায় আমায় আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে। পাথর ছুড়েছিল। লাগলে মাথা ফেটে যেত। যথেষ্ট ক্ষতি হতো। সব জায়গায় জানিয়েছি। লোকসভার অধ্যক্ষকে আমি জানাব। যে ব্যক্তি এই কাজ করেছে, আমি চিনতে পেরেছি। আমি দেখব বিষয়টা।”
যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে তৃণমূল কংগ্রেসের বদান্যতায় জোড়াফুল চিহ্ন ব্যবহার করে শিশির অধিকারী সাংসদ হয়েছেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। দিব্যেন্দু অধিকারীর কতটা কী যোগ্যতা ছিল জানি না, সাংসদ হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সাংসদ হিসাবে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। অথচ বিভিন্ন সময় তাঁরা প্রকাশ্যে দলবিরোধী কাজ করছেন। হিম্মত থাকলে তৃণমূলের প্রতীকটা সরিয়ে পদত্যাগ করুন। অন্য প্রতীক পছন্দ হলে লড়াই করে জিতে দেখান। তবে বুঝব।”