শুভেন্দুকে বিজেপির ‘উজ্জ্বল তারকা’ বললেন মুকুল, মমতা গোলকিপার আমি ‘স্ট্রাইকার’, খোঁচা রাজীবের
বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার মাস দুয়েকের মধ্যেই গেরুয়া শিবিরের সব থেকে 'উজ্জ্বল তারকা' হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এ কথা নিজের মুখেই জানিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় (Mukul Roy)।
কলকাতা: আর কোনও রাখঢাক নেই, কোনও দ্বিমতও নেই। বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার মাস দুয়েকের মধ্যেই গেরুয়া শিবিরের সব থেকে ‘উজ্জ্বল তারকা’ হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এ কথা নিজের মুখেই জানিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় (Mukul Roy)। উত্তর কলকাতায় বুধবার এক মিছিল শেষে সভামঞ্চ থেকে এই বিজেপি নেতা বলেন, “সব খেলার একটা উজ্জ্বল নক্ষত্র থাকে। এখন ভারতীয় জনতা পার্টির উজ্জ্বল নক্ষত্র শুভেন্দু।” আজকের সভায় মুকুল-শুভেন্দু ছাড়াও বাবুল সুপ্রিয়, অর্জুন সিং, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্ত উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, শুভেন্দু মুখ খোলেন গতকাল কুণাল ঘোষের সঙ্গে হওয়া এক ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ নিয়ে। সূত্রের খবর, গতকাল সভা থেকে ফেরার সময় বারুইপুরের এক হোটেলে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হয় শুভেন্দু অধিকারী ও সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র। সেই সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। সাফাইয়ের সুরে সেই নিয়ে এ দিন শুভেন্দু বলেন, “তিন বছর সারদার জেল খাটা লোকের সঙ্গে দেখা করতে আমাকে বাইরুপুরে যেতে হবে? আমার এত খারাপ অবস্থা হয়নি।”
আজকের মিছিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ব্যাপক অশান্তি তৈরি হয়। এ দিন মিছিল শুরু হলে রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কর্মীরা ঝাঁটা দেখান। ভাঙা হয় গাড়ি। এই দৃশ্য দেখে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন বিজেপি কর্মীরা। পালটা ইট ছোড়া হয়, চেয়ারও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর বক্তব্য রাখতে উঠে পালটা তোপ দেগে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “আজকে আমার গাড়ি ভেঙেছে। সব গাড়ি ভাঙার বদলা নেব আমি। পুলিশ এখন দলদাস। যা করছেন, তা ফেরত পাবেন।” অন্যদিকে শাসকদলকে তাঁর কটাক্ষ, “তৃণমূল মরা হয়ে গেছে। তাই আর অক্সিজেন দিয়ে লাভ নেই।”
আরও পড়ুন: ভোটের আগে সরাসরি ভ্যাকসিন কিনতে চায় রাজ্য, মোদীকে চিঠি মমতার
সভায় হাজির হয়ে বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও তোপ দাগেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাবুল বলেন, “যে ভাষা উনি (পড়ুন মমতা) ব্যবহার করেছেন, তা করা উচিত নয়। এই রাজ্যে এমন ভাষা আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন? তৃণমূল সরকারকে আরব সাগরে ফেলে দিতে হবে। কলকাতায় এবার ১১-০ করতে হবে। আর কোনও পিসি এবং ভাইপো এসে যেন এই রাজ্যে না আসে।”
সভা থেকে রাজীবের বক্তব্য, “লজ্জা লাগছে, একটা শান্তিপূর্ণ মিছিলে আক্রমণ করছে কয়েকটা লোক। এই দল ছেড়ে ভাল করেছি। এত ভয় কিসের? আমারও আপনার দলে ছিলাম। কী ভাবে নির্বাচন করতে হয় তা আমরাও শিখেছি। আমরা স্ট্রাইকার, প্রস্তুত আছি। জার্সি শুধু বদল করেছি। তাই গোল কী করে দিতে হয় , আমরাও জানি। আপনি গোলকিপারের থেকেও তা আটকাতে পারবেন না।”
আরও পড়ুন: রুজিরাকাণ্ডে মুখ খুললেন মমতা: ‘ঘরের বউকে কয়লা চোর বলছে…বিজেপিতে মেয়েদের সুরক্ষা নেই’