দীক্ষা ভুঁইয়া, সুশোভন ভট্টাচার্য ও কৌশিক দত্তের রিপোর্ট
কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে টাকা চেয়ে ফোন। ফোনেই ৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শেক্সপিয়ার সারণি থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই অ্যাকশনে নামে পুলিশ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিড স্ট্রিটের MLA হোস্টেল থেকে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ধরা পড়েছে জুনেদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মল্লিক, তাসলিম শেখ নামে তিন জন। এদের প্রত্যেকের পরিচয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খতিয়ে দেখা হয় MLA হোস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজ। তা দেখেই শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। ঘটনায় তাঁদের কী ভূমিকা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এমনকী তাঁরা কীভাবে এমএলএ হস্টেলে গেলেন, কী যোগাযোগ তাও খতিয়া দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে ফোন করে দেখা করার কথাও বলা হয়। দেখা না করলে পদ চলে যাওয়ার ভয়ও দেখানো হয় বলে অভিযোগ। তারপরই চাওয়া হয় টাকা। আইপ্যাক ডিরেক্টর প্রতিম জৈনেরও নাম নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। স্পষ্ট বলা হয়, ‘আপনাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। থাকতে গেলে দেখা করুন। টাকা নিয়ে আসুন।’ দেখা করার জন্য বিধায়ক আবাসনে ডাকা হয়। একইরকম ফোন যায় কাটোয়ার পুর প্রধান সমীর সাহার কাছেও। কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে জানালে সেখান থেকে থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয়। তারপরই ফাঁদ পাতে পুলিশ। টাকা দিতে যাওযার নাম করে সাদা পোশাকে পুলিশ যায় আনন্দবাবুর সঙ্গে। বিধায়ক আবাসন থেকে ধরা হয় তিনজনকে। কোন এমএলএর নাম করে রুম বুক রয়েছে তার খোঁজ শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক নামে বুক ছিল ঘরটি। বিধায়কের নাম নিখিলরঞ্জন দে। তিনি কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক। ইমরান শেখের নামে রুম বুক করেছিলেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্য়েই বিজেপি বিধায়ককে তদন্তে জন্য ডাকার প্রক্রিয়ায় শুরু করছে পুলিশ।