কলকাতা: দিনে পড়াশোনা মোটামুটি চার ঘণ্টা। কখনও কখনও তার একটু বেশি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। পড়াশোনা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে। কথা হচ্ছে শুভ্রাংশু সর্দারকে নিয়ে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় চোখ ধাঁধানো ফল করে এবারে গোটা রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে নিয়েছে শুভ্রাংশু। তবে ভাল ফলের আশা যে করেছিল তা ক্যামেরার সামনে অকপটে স্বীকারও করে নিচ্ছে। টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে শুভ্রাংশকে বলতে শোনা গেল, “একটু হলেও আশা করেছিলাম। বাকিটা তো আর আমার হাতে ছিল না। ভাল পরীক্ষা দেওয়াটা আমার হাতে ছিল। এখন বেশ ভালই লাগছে। আমি দিনে মোটামুটি কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। এর বেশি করা যেতে পারে। কিন্তু, এর কম আমার মনে হয় করা উচিত নয় এত বড় পরীক্ষার জন্য।”
এক থেকে দশের মধ্যে রয়েছে ৮৭ জন। উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জয়জয়কার হুগলির। ঠাঁই করে নিয়েছে ১৮ জন। পাশের হারে সব রাজ্যকে পিছনে ফেলে সবার উপরে পূর্ব মেদিনীপুর। এককভাবে চোখ ধাঁধানো ফল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের। এই স্কুল থেকে এক থেকে দশের মেধা তালিকায় রয়েছে ৭ জন। নরেন্দ্রপুর নিয়ে গর্বের শেষ নেই শুভ্রাংশুরও। নিজের অভাবনীয় সাফল্য়ের জন্য নিজের সবথেকে বেশি এগিয়ে রাখছে স্কুলকেই। কৃতজ্ঞ স্কুলের শিক্ষকদের প্রতিও।
কার্যত গর্বিত কণ্ঠেই এদিন শুভ্রাংশুকে বলতে শোনা যায়, “আমি তো চিরকালই নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের একজন আবাসিক ছাত্র। সে ক্ষেত্রে স্কুলের অবদান নতুন করে আর কী বলব। স্কুল ছাত্রদের যা বানায় তা নিয়ে আর কিছু বলার নেই। নরেন্দ্রপুরের এক ক্ষেত্রে একটা ঐতিহ্য আছে। আমার সাফল্যের জন্য সবথেকে বেশি অবদান আমার রয়েছে বলে আমি মনে করি। কারণ পরীক্ষাটা আমি দিয়েছি। দ্বিতীয়ত স্কুল, তৃতীয়ত আমার মা-বাবা সহ বাকি সবাইয়ের রয়েছে। বাকিদের জন্য বলব পড়াশোনা করতে হবে। না খেটে কিছু হবে না।” শুভ্রাংশুর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের মহেশতলাতে। বাবা সবজি বহনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। সেই কাজ করেই টানেন সংসারের ঘানি। মোটের উপর পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভাল নয়।