Kalighat Guest House: কালীঘাটে গেস্ট হাউজে একাই উঠেছিলেন মহিলা, বুধবার বিকেলে রুমবয়ের নজরে আসে ভয়ঙ্কর দৃশ্য
Kalighat: প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলা ২৩ নভেম্বর সরকারি কাজে কলকাতায় এসেছিলেন। কালীঘাটের একটি গেস্ট হাউজে ওঠেন তিনি।
কলকাতা: কালীঘাটের এক গেস্ট হাউজ থেকে উদ্ধার করা হল কালিম্পংয়ের এক মহিলার অচৈতন্য দেহ। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, নেপথ্যেই বা কী রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলা ২৩ নভেম্বর সরকারি কাজে কলকাতায় এসেছিলেন। কালীঘাটের একটি গেস্ট হাউজে ওঠেন তিনি। বুধবার রাতে সেখানকারই একটি ঘর থেকে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম বিন্দু লামা সুব্বা। ৫১ বছর বয়স তাঁর। কালীঘাটে পার্বতী চক্রবর্তী লেনের ওই গেস্ট হাউজে ওঠেন তিনি।
গেস্ট হাউজের কর্মীরা জানিয়েছেন, নাম নথিভুক্ত করার যে খাতা তাতে ওই মহিলার নাম লেখা রয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ২৩ তারিখ কালিম্পং থেকে আসেন তিনি। গেস্ট হাউজের এক কর্মী জানান, “আমাদের যা যা ফরমালিটিজ সবটাই করা হয়। পরিচয়পত্রের প্রমাণ, ঠিকানা এবং আমার যে ঘর ভাড়া তা নিয়েই ওনাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। বিকেল চারটে সাড়ে চারটে নাগাদ যখন আমাদের রুম বয় ওনাকে ডাকতে যান তখন কোনও আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আমি আমার মালিককে খবর দিই। যাঁদের রেফারেন্সে এসেছিলেন তাঁদেরও খবর দিই।” পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ময়না তদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলেই আসল ঘটনা জানা যাবে।
কিছুদিন আগেই গড়ফা থানা এলাকায় এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। বেসরকারি এক আবাসনের ছাদে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গড়ফার ১৪ নম্বর কালীতলা পার্ক লেনে ঘটনাটি ঘটে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আবাসনের ছাদে দেহটি দেখতে পান বাসিন্দারা। গড়ফা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ লজানতে পারে ওই মহিলার নাম রুমা ঘোষ। রুমা বিভিন্ন বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। সোমবার কালীতলা পার্ক লেনের বাড়িতে কাজের জন্য যান।
লকডাউনের আগে সেখানেই কাজ করতেন রুমা। পরে কাজ ছেড়ে দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন ফের কাজ চাইতে যান ফ্ল্যাটের মালিক এইচ কে মালাকারের কাছে। কাজে রাখতে চাননি মালিক। এরপরেই ছাদ থেকে উদ্ধার হয় রুমার দেহ। যদিও মৃতের পরিবারের বক্তব্য, রুমা ওই ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। চড়া সুদে সেই টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় এক লক্ষ। এরপরই চাপে পড়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে রুমার পরিবার জানায়।
আরও পড়ুন: Howrah Municipal Election: কলকাতায় হলেও, এ বছর আদৌ হাওড়ার পুরভোট হবে কি না ঝুলছে প্রশ্নচিহ্ন