Na Bollei Noy: টেট পাশ না করেই প্রাথমিকে চাকরি অনুব্রত-কন্যার? যে কথা ‘না বললেই নয়’

Na Bollei Noy: আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করেছেন, একা সুকন্যা নন। কেষ্ট মণ্ডলের বদান্যতায় স্কুলে না কি চাকরি পেয়েছেন, তাঁর সম্পর্কিত ভাই, ভাইপো, এমনকি তাঁর পিএ।

Na Bollei Noy: টেট পাশ না করেই প্রাথমিকে চাকরি অনুব্রত-কন্যার? যে কথা 'না বললেই নয়'
'না বললেই নয়' দেখুন TV9 বাংলায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 5:54 PM

কলকাতা: বাবা রে বাবা। তলে তলে এত! এ তো মারাত্মক অভিযোগ! এখনও শোনেননি? অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নাম তো এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গেল। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, আজ হাইকোর্টে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন। আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, সুকন্যা মণ্ডল টেট পাশ না করলেও প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পেয়েছেন। সুকন্যা চাকরি করেন বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে। হেঁটে না কি পাঁচ মিনিট দূরের স্কুলের শিক্ষিকা সুকন্যা। কিন্তু, তবুও সুকন্যা স্কুলে চাকরি করতে যেতেন না বলে অভিযোগ। স্কুলে না গেলেও না কি তাঁর হাজিরা নিয়ে কোনও সমস্যা হত না। একেবারে আপ টু ডেট থাকত সুকন্যার অ্যাটেনডেন্স। ফিরদৌস শামিমের অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে, হাজিরা খাতা আসত, তাঁর মেয়ের অ্যাটেনডেন্স নিতে। কী মারাত্মক অভিযোগ ভাবুন। শুধু যে অন্যায়ভাবে চাকরি পেয়েছেন শুধু সেই অভিযোগ নয়। অভিযোগ, স্কুলে না গিয়েও মাস মাইনে বুঝে নিতেন সুকন্যা মণ্ডল। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করেছেন, একা সুকন্যা নন। কেষ্ট মণ্ডলের বদান্যতায় স্কুলে না কি চাকরি পেয়েছেন, তাঁর সম্পর্কিত ভাই, ভাইপো, এমনকি তাঁর পিএ।

বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় সুকন্যাকে টেট পাশের সার্টিফিকেট নিয়ে হাইকোর্টে যেতে বলেছেন। সুকন্যা কি যাবেন?আজ তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু দুয়ারে সিবিআই পৌছলেও, তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করেননি সুকন্যা। জানিয়েছেন, তাঁর ভীষণ মন খারাপ। সুকন্যার দেখা না পেয়ে, সিবিআই না কি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সার্চ ওয়ারেন্টের জন্য না কি আসানসোলের কোর্টের দ্বারস্থ তদন্তকারীরা? সুকন্যার অ্যাকাউন্ট রয়েছে যে ব্যাঙ্কে সেখানেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। খাজানার খোঁজে, আটঘাট বেঁধেই এগোচ্ছেন তদন্তকারীরা।

ওদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলের ভাত খাচ্ছেন। আবার জেরার মুখেও পড়ছেন। আজ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আরেক দফা জেরা করেছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সেই কবে ত্যজ্য করে দিয়েছে তৃণমূল। তবে পার্থ পর হলেও, এখনও তৃণমূলের আপনজন অনুব্রত। এই যখন অবস্থা, তখন দক্ষিণ কলকাতা ছয়লাপ এক বিশেষ হোর্ডিংয়ে। কোনও কোনও হোর্ডিং-এ আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, আগামী ৬ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল। নতুন তৃণমূল কেমন হবে? সেই ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ যেমন তৃণমূল চান। ঠিক তেমন তৃণমূল। আবার কোনও হোর্ডিংয়ে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের জন্য লড়াইয়ের বার্তা রয়েছে। লেখা যাই থাক, সব হোর্ডিংয়ে এক জিনিস কিন্তু কমন। সেটা হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। আলাদা করে অভিষেকের ছবি দিয়ে, এসব হোর্ডিং নজর কেড়েছে পথ চলতি মানুষের। অনেকেই দেওয়াল লিখন পড়ার চেষ্টা করছেন। বুঝতে চাইছেন, এই উন্নততর তৃণমূলের মুখ কি তাহলে এক ও একমাত্র অভিষেক? এবার কি তাহলে তৃণমূলের যুবরাজের রাজ্যাভিষেকের পালা? বালাই ষাট, এসব প্রশ্ন করলেই তৃণমূলের নেতারা অবশ্য জিভ কাটছেন। ২০১৬ সালে অভিষেকের ছবি দিয়ে ম্যাচ উইনার হোর্ডিং পড়েছিল রাজ্যে। সেই হোর্ডিং সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলেন অভিষেক অনুগামীরা। এবার তেমন কিছু হবে না তো?

পণ্ডিত মানুষরা বলেন, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। একথা সত্যি যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, নয়তো ব্রাত্য বসু, এই দু’জনই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শিক্ষা দফতরের কাজকর্ম সামলেছেন। পার্থ এখন জেলে। এই টার্মে ব্রাত্য বসু শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্যর সিলেবাসে এখন বৈঠক খুব গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টার। বরফ গলাতে বৈঠকের পর বৈঠক করেই চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। আজ যেমন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রচুর আশ্বাসও না কি দিয়েছেন।

কিন্তু, বড্ড দেরি হয়ে গেল না তো? মেধা নয়, যোগ্যতা নয়। শুধুমাত্র ফেল কড়ি মাখো তেল। অভিযোগ, এই ফর্মুলাতেই শিক্ষকের চাকরি বিলি হয়েছে। নেতারা যদি বিপদে পড়েন, তাহলে তাঁদের ধামাধারীরা কি রক্ষে পাবেন? সে যদি, নেতার মেয়েও অসত্‍ উপায়ে চাকরি পান, তাহলেও কি শেষরক্ষা করতে পারবেন? পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা পারেননি। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে চাকরি পাওয়ার যে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে, তা ঠিক কি না বোঝা যাবে হাইকোর্টে। আপাতত যেমন যেমন খবর হচ্ছে আমরা জানাচ্ছি।

জানানোর সময়টা জানেন তো? রাত ৮.৫৭। টিভি নাইন বাংলায় না বললেই নয়, দেখবেন।