কলকাতা: রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) দফতর থেকে অপসারিত তিন আধিকারিককে পোস্টিং দিল রাজ্য সরকার। ভোটের আগে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে (State Election commission West Bengal) বড় রদবদল হয়। সরানো হয় জয়েন্ট সিইও অনামিকা মজুমদার, অ্যাডিশনাল সিইও শৈবাল বর্মণ ও ডেপুটি সিইও অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্যকে। শৈবাল বর্মণ বদলি হন নবান্নে। এবার ওই তিন আধিকারিককে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ করল রাজ্য সরকার। কে কোন পদে বসলেন?
অর্থ দফতরের অতিরিক্ত সেক্রেটারির পদে বসানো হল শৈবাল বর্মণকে। আগে তিনি ছিলেন অতিরিক্ত সিইও পদে। এছাড়া পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের যুগ্ম সচিব করা হয়েছে অনামিকা মজুমদারকে। সিএমও বা মুখ্যমন্ত্রী দফতরের ওএসডি হিসেবে প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যান্ড গ্রিভান্স সেল (Program implementation and grievance cell) সামলানোর দায়িত্বে বর্তেছে অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্যের উপর।
এদিকে আইএএস অফিসার সুনীলকুমার গুপ্তা দায়িত্ব পেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের। ফলে সুনীল গুপ্তার দায়িত্বে থাকা কৃষি সচিব পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাবেন অঙ্কার সিং মিনা। আবাসন দফতরের সঙ্গে এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন মিনা। এছাড়াও বীরভূম ও হুগলির জেলাশাসক করা হচ্ছে দেবীপ্রসাদ কারানম এবং দীপা প্রিয়াকে। ওই দুই জেলার জেলাশাসক ছিলেন যথাক্রমে বিজয় ভারতী ও রত্নাকর রাও।
আরও পড়ুন: নবান্ন প্রস্তাবিত তালিকা ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, সিইও দফতরের ন’জনের মধ্যে এক কর্তাকেই বাছাই করল কমিশন
তবে আপাতত দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসকের পদে বহাল থাকছেন নিখিল নির্মল। সোমবার নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল, দক্ষিণ দিনাজপুরের নয়া জেলাশাসকে দায়িত্বে বসবেন কৌশিককুমার নাগ। তবে মঙ্গলবার সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। বদল হয়েছেন দুই আইপিএস অফিসার ও তিন বিডিও’র। দুই আইপিএস অপিসারের নাম সুজাতা কুমারী বীণাপানি, সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। এঁদের মধ্যে সৌম্যদীপ ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির এসডিপিও।
প্রসঙ্গত, এদিনই রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) দফতরের আধিকারিক বাছাইয়ে রাজ্যের প্রস্তাবিত তালিকা মানেনি কমিশন। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) দফতরের ৯ জন আধিকারিকের তালিকা পাঠিয়েছিলেন। সেখান থেকে ৩ জনকে বাছাই করে নেওয়ার কথা থাকলেও কেবল এক জনকেই পছন্দ করে কমিশন। বাকি দুই আধিকারিককে নিজেরাই পছন্দ করে নেয় নির্বাচন কমিশন। শোনা যায়, নবান্ন প্রস্তাবিত তালিকা ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।