কলকাতা: ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election of 2021) আগে সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের (Journalist Matthew Samuel) স্টিং অপরারেশন ঠান্ডা স্রোতা বইয়ে দেয় শাসক শিবিরের একাধিক প্রথমসারির নেতাদের শিরদাঁড়ায়। তোলপাড় হয় বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এবার সেই নারদ মামলাতেই শনিবার কলকাতার নগর দায়রা আদলতে হাজিরা দিতে আসেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, কলকাতার বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন শোভনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়ও। হাজিরা দেন আইপিএস অফিসার এসএমএইত মির্জা।
এই মামলায় গত বছরই শাসক দলের এই ৪ জন হেভিওয়েট বিধায়ক-মন্ত্রীদের গ্রেফতার করে সিবিআই(CBI)। যদিও পরবর্তীতে তাঁরা জামিনও পেয়ে যান। কিন্তু শুনানির সময় তাঁদের প্রতিবারই সশরীরে হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় আদালতের তরফে। সেই মামলার শুনানিতে এদিন ফের এই হেভিওয়েটদের দেখা গেল আদালতে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় সিবিআই-র চার্জশিট নিয়ে গতবছরই একগুচ্ছ অভিযোগ করেন অভিযুক্তদের আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত। তখন তাঁর সাফ দাবি ছিল, চার্জশিট ফাইল করার জন্য রাজ্যপালের সম্মতি প্রয়োজন। গ্রেফতারির আগে নোটিশ দিতে হয়। সেসব কিছুই দেওয়া হয়নি। গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেও তোপ দাগেন তিনি। সেই ঘটনার পর ১ বছর কেটে গেলে আজও তাঁর গলায় শোনা গেল একই সুর।
এদিন আদলত চত্বরে দাঁড়িয়ে ফিরহাদ-মদন-শোভনের আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত বলেন, আদালতের কাছে তথ্য-প্রমাণের কোনও যথাযথ নথি নেই। সেই কারণে তাঁরা কোনও অভিযোগই মিলিয়ে দেখতে পারছেন না। এই বিষয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। যার জেরে বিচারপতিরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে এদিন রায়দান স্থগিত রাখেন। অন্যদিকে সিবিআই-র চার্জশিট নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় এসএমএইত মির্জাকেও। তাঁর দাবি, চার্জশিটে মোট ১৩ জনের নামে অভিযোগ থাকলেও, চার্জশিটে মাত্র ৫ জনের নাম কেন? তাঁর এই প্রশ্ন নিয়েও এদিন বিস্তর শোরগোল শুরু হয়ে যায় আদালতে। আগামী ১১ জুলাই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিন আদালত নতুন কী রায় দেয় সেদিকে নজর রয়েছে সকলের।
আরও পড়ুন- নারদ মামলার শুনানিতে বৈশাখীকে নিয়ে আদালতে শোভন, হাজির মদন-ফিরহাদ