
নয়াদিল্লি: মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর এবার আসরে জাতীয় মহিলা কমিশন(NCW)। মুর্শিদাবাদের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তারা পদক্ষেপ করল। তদন্ত কমিটি গঠন করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকর। এমনকি, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন নিজে হিংসা কবলিত এলাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় গত কয়েকদিনে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ভাঙচুর চালানো হয়। হিংসায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ২ জনকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। আর একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য পুলিশ, বিএসএফ ও আধাসেনা রয়েছে জেলায়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের মন্দিরপাড়া এলাকায় মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বহু মহিলা ভাগীরথী নদী পেরিয়ে অন্য জায়গায় গিয়েছেন। মালদহে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। বাড়ি থেকে দূরে আশ্রয় শিবিরে আতঙ্ককে সঙ্গী করে দিন কাটছে তাঁদের।
হিংসা কবলিত বিভিন্ন জায়গায় বিজয়া রাহাতকর যাবেন বলে জাতীয় মহিলা কমিশন জানিয়েছে। তিনি আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করবেন। বিজয়া রাহাতকর যে কমিটি গড়েছেন, তাতে তিনি ছাড়াও রয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। রয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি শিবাণী দে।
চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে চার সদস্যের ওই কমিটি আগামিকাল (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কলকাতা পৌঁছবে। ১৮ এপ্রিল কমিটির সদস্যরা মালদহ রওনা দেবেন। মালদহে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। মালদহের পুলিশ সুপার, জেলাশাসক-সহ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বিজয়া রাহাতকরের নেতৃত্বে ওই কমিটি আগামী ১৯ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ, জাফরাবাদ-সহ বিভিন্ন এলাকায় যাবেন। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গেও দেখা করবেন কমিটির সদস্যরা। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী পদক্ষেপ করেছে, তা নিয়ে খোঁজখবর নেবে। আক্রান্তদের সঙ্গেও কথা বলবেন কমিটির সদস্যরা।