Nausad siddique: হজ নিয়েও দুর্নীতি বাংলায়, তথ্য তুলে ধরে বিস্ফোরক অভিযোগ নওশাদের

Nausad siddique: সরকারি কর্মীদের মধ্যে ইচ্ছুকদের আবেদন করতে বলা হয় সরকারের তরফ থেকে। সেই আবেদনের পরে লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষায় যাঁরা উত্তীর্ণ হন, তাঁরা মুম্বইতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেন।

Nausad siddique: হজ নিয়েও দুর্নীতি বাংলায়, তথ্য তুলে ধরে বিস্ফোরক অভিযোগ নওশাদের
আইএসএফ নওশাদ সিদ্দিকিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 21, 2025 | 3:08 PM

কলকাতা:  হজ নিয়েও দুর্নীতি হচ্ছে বাংলায়! বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে, ঠিক সেভাবেই দুর্নীতি হচ্ছে রাজ্যের হজ ইন্সপেক্টর নিয়োগেও। বুধবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়েই বিষয়টি স্পষ্ট করলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ করেছেন নওশাদ।

দেশের প্রত্যেক রাজ্য থেকে হজে যান তীর্থযাত্রীরা। নিয়ম অনুযায়ী ১৫০ জন হজ যাত্রী পিছু একজন করে ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা হয়।

কীভাবে নিয়োগ হয়?

সরকারি কর্মীদের মধ্যে ইচ্ছুকদের আবেদন করতে বলা হয় সরকারের তরফ থেকে। সেই আবেদনের পরে লিখিত পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষায় যাঁরা উত্তীর্ণ হন, তাঁরা মুম্বইতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেন। মূলত ২ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে বেশিও হতে পারে। পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই ইন্সপেক্টর হিসেবে তারা হজ যাত্রীদের দেখাশোনার সুযোগ পান। কিন্তু নওশাদের অভিযোগ,  পরীক্ষায় না বসে, প্রশিক্ষণ না নিয়েই ইন্সপেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অনেকেই। অথচ প্রশিক্ষিত, পাশ করাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

নওশাদ জানান, বাংলায় ৫ হাজার ৪০০ মতো এবছরের তীর্থযাত্রী হজে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “তীর্থযাত্রীদের দেখভাল করতে আমাদের রাজ্য থেকে হজ ইন্সপেক্টর পাঠায়। প্রথম তাঁদের পরীক্ষা হয়, তারপর মুম্বই গিয়ে তাঁরা প্রশিক্ষণ নেন, দুদিন প্রশিক্ষণ হয়, তাঁরা তালিকাভুক্ত হয়। তাঁরা যান। আমরা দেখলাম, যে তালিকা তৈরি হয়ে এসেছে, সেখান থেকে ১২-১৩ জনকে বাদ দিয়ে নতুন নিয়োগ করা হচ্ছে। তাঁরা কোনও প্রশিক্ষণই নেননি। যাঁদের পাঠানো হচ্ছে, সেটা অবৈধ। ঠিক যেভাবে, চাকরির পরীক্ষা দিল, পাশ করল, তালিকায় নাম আসল না। পরিবর্তে ভুয়ো প্রার্থী ঢুকে গিয়েছিল, এক্ষেত্রে হজের নিয়োগ ইন্সপেক্টর নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে।”

এই দুর্নীতির বিষয়ে তিনি সেন্ট্রাল হজ কমিটি, ভারত সরকারে সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রীকেও জানিয়েছেন। কিন্তু সেখান থেকেও কোনও সদুত্তর না মেলায়, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে নওশাদ জানিয়েছেন।