কলকাতা: ৪১ দিন পর জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui)। শনিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে হুগলির ফুরফুরায় নিজের বাড়ির পথে রওনা দেন তিনি। রবিবার Tv9 বাংলার সাক্ষাৎকারে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি হেসে বলেন, “আমি একদম ফিট আছি,জেলের ভাত খেয়েও ঠিক আছি।” কিন্তু কেমন ছিল আইএসএফ নেতার জেলের অভিজ্ঞতা? জেলে কীভাবে আচরণ করা হয় বিরোধীদের সঙ্গে? আজ পুরো বর্ণনা শোনালেন Tv9 বাংলাকে।
নওশাদ বলেন, “জেলে গেলে বোঝা যাবে কীভাবে মানুষকে ভুল পথে পরিচলিত করা হচ্ছে। এমন-এমন মিথ্যে মামলা দিয়েছে পুলিশ যার সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর হতে পারে। বিরোধী দল করার জন্য ছ’বছর অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। আর পকসো কেস এমনভাবে দিচ্ছে যা গাজা কেসকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করতাম বন্দিদের। তখন কেউ-কেউ বলেতেন আমি এই দল করি। বিরোধী কন্ঠরোধ করতে যে মামলা দীর্ঘদিন চলবে সেই মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
শাসকদলকে আক্রমণ করে নওশাদ বলেন, “ভারতকে স্বাধীন করতে আমাদের পূর্ব পুরুষরা আত্মবলিদান দিয়েছেন। আমারা সংবিধান পেয়েছি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা যে দল অর্জন করবে তারা দেশ পরিচালনা করবে। যারা বিরোধী তারা সরকারের কাজের ভুল ধরিয়ে দেবে। এটাই সহ্য করতে পারছে না শাসকদল। সমালোচনা করলেই তাঁকে গ্রেফতার করছে।” এ দিন, নওশাদ সিদ্দিকি আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারির সমালোচনা করে বলেন, “একজন আইনজীবীকে যেভাবে গ্রেফতার করছে তা মেনে নেওয়া যায় না। উনি কি পালাবার ছেলে? আমি কি পালিয়ে যাব?” এরপর জেলের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “আমার যখন শারীরিক পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়া হত তখন পুলিশের সংখ্যা দেখলে চমকে যাবেন। যেন কোনও সন্ত্রাসবাদী। আরে পালাবার ছেলে নাকি আমরা? প্রয়োজনে ফাঁসির মঞ্চে উঠব। আসলে এরা ভয় সৃষ্টি করে এটা বোঝাতে চাইছে যে একজন আইনজীবী-বিধায়কের সঙ্গে এমন হয় তোমাদের কর্মীদের সঙ্গে কী হবে। আমাদের আইনের প্রতি ভরসা আছে। দিনের শেষে আমরা আইনের মাধ্যমে ছাড়া পেয়েছি।”