কলকাতা: দল গঠন করার পর আর তেমনভাবে সামনে আসেননি আব্বাস সিদ্দিকি। আইএসএফ দলের পক্ষে সামনে থেকে লড়াই করতে দেখা যায় নওশাদ সিদ্দিকি ও তাঁর অনুগামীদের। বিধায়কের সংখ্যা মাত্র এক হলেও, ২০২১-এ তৈরি হওয়া সেই দলের প্রাসঙ্গিকতা নেহাত কম নয়। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কেন্দ্রে তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন নওশাদ। তার আগে আব্বাস সিদ্দিকিকে ‘পরমাণু বোমা’ বলে উল্লেখ করলেন নওশাদ।
আব্বাসকে সামনে আসতে দেখা যায় না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে আব্বাসকে ‘পরমাণু বোমা’ বলে উল্লেখ করেছেন নওশাদ। তাঁর কথায়, ‘পরমাণু বোমা তো সবসময় বের করতে হয় না। প্রয়োজন পড়লে বের করা হয়।’ দলের অন্যান্য সৈনিকেরা ব্যর্থ হলে আব্বাস সিদ্দিকি সামনে আসবেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনে অভিষেকের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে নওশাদের প্রার্থী হওয়ার খবর সামনে আসার পরই তৃণমূলের তরফ থেকে সিদ্দিকি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে আইএসএফ -এর একমাত্র বিধায়ক নওশাদ দাবি করেছেন, শাসক দলের তরফে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে শুনেছেন তিনি। তবে কে যোগাযোগ করছেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন নওশাদ। বিধায়ক বলেন, “আমাদের পরিবার অনেক বড়। পরিবারের প্রতি আমাদের দুর্বলতা আছে। সেই পরিবারের সঙ্গেই একটা বোঝাপড়ার চেষ্টা চলছে বলে শুনেছি। কে করছে, সেটা জানতে পারলেই বলব।” এ বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
একইসঙ্গে নওশাদ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার থেকে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে কোনওভাবেই পিছপা হবেন না তিনি। মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হলে, প্রয়োজনে সেখান থেকে লড়বেন বলেও জানিয়েছেন নওশাদ। তাঁর আশঙ্কা, শাসক দল তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে। তবে ভয় পাচ্ছেন না তিনি। তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন নওশাদ। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতারা নওশাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন। আরাবুল ইসলাম দাবি করেছেন, নওশাদকে মদত দিচ্ছে মদত দিচ্ছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস।