কলকাতা: ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন ঘিরে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। এই অশান্তি বিরোধীদের উস্কানিতে হয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। রাজ্যের বদনাম করতে বিজেপির মদতে আইএসএফ এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ শাসকের। সম্প্রতি বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং নিত্যানন্দ রাজার সঙ্গে আইএসএফের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এনেছে তৃণমূল। যদিও সেই চ্যাটের স্ক্রিনশটের সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা। সেই প্রসঙ্গে আইএসএফ ও বিজেপিকে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের তোলা অভিযোগকে পাত্তা দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন নওশাদ। এটাকে তৃণমূলের চক্রান্ত বলেও দাবি করেছেন তিনি।
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই চ্যাটের বিষয়ে বলেছেন, “নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং নিত্যানন্দ রাজার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে।” এ বিষয়ে আইএসএফ ও বিজেপিকে আক্রমণ করে কুণাল ঘোষ বলেছেন, “বিজেপির সঙ্গে আইএসএফের যে ওতপ্রোত সম্পর্ক তা এবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বিজেপির পুতুল হয়ে আইএসএফ কাজ করছে তা বোঝা যাচ্ছে। নওশাদ সিদ্দিকি মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সম্পর্কে। নওশাদ সিদ্দিকিকে আমি বলছি, যদি ভুল হয় তাহলে মানহানির মামলা করুন। কীভাবে বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করেছিল, তা এই চ্যাট থেকে প্রমাণিত। বিজেপির পুতুল হয়ে নওশাদ সিদ্দিকি কাজ করছেন।”
যদিও তৃণমূলের তোলা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তৃণমূলের আক্রমণের জবাবে নওশাদ বলেছেন, “এই বিষয়টাকে আমি পাত্তা দিই না। এই বিষয়টি তৈরি করা হয়েছে আমার মাইন্ড ডাইভার্ট করে দেওয়ার জন্য। আমার সঙ্গে যাতে আইএসএফ সমর্থকদের ভুল ধারণা তৈরি হয় সে জন্য এটা তৈরি করা হয়েছে। শাসকদল ইতিপূর্বে একাধিক চক্রান্ত করেছে। আমাকে ভয় দেখানো হয়েছে। ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। অনৈতিকভাবে ৪১ দিন আমাকে জেল খটিয়েছে। তার পরও আমাকে আটকে রাখতে পারেনি। এটা নতুন গুজব।” তৃণমূলের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেছেন, “আমার সঙ্গে বিজেপির যদি এক টাকার লেনদেন কেউ প্রমাণ করতে পারে তাহলে বাংলার জনগণ, ভাঙড়ের জনগণ যে শাস্তি দেবে আমি মাথা পেতে নেব। মানুষের স্বার্থে রাজনীতিতে এসেছি। এই রাজনীতি করে যাব।”