প্রবল গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। সূর্য মধ্যগগনের দিকে এগোতে শুরু করলেই বাড়ির বাইরে পা দেওয়া দায় হয়ে উঠছে। শুধু চড়া রোদই নয়, সঙ্গে তাপপ্রবাহের জেরে চরম কষ্ট আর আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। এই পরিস্থিতিতেও মজার রসদ খুঁজছেন নেটিজেনরা। অনেকেই মনে করছেন, তাপমাত্রার পারদ যে ভাবে চড়তে শুরু করেছে, তাতে মরুভূমির সঙ্গে খুব বেশি ফারাক থাকবে না কলকাতা তথা বাংলার।
মার্চ পেরিয়ে এপ্রিলও প্রায় শেষের পথে। তা সত্ত্বেও বাংলায় কালবৈশাখীর দেখা নেই। উত্তরে কম-বেশি বৃষ্টি হলেও রোদে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। আর সেই পরিস্থিতিতে সোনার কেল্লার দৃশ্যও মনে পড়ে যাচ্ছে কারও কারও।
নেটিজেনরা বলছেন, বৃষ্টির যখন দেখা মিলবেই না, তখন উটের পিঠে চেপে ঘোরা যাক। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত মরু শহরের রূপ দেওয়া হয়েছে কলকাতাকে।
বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও শহরবাসীকে খুব বেশি আশার আলো দেখাতে পারছে না আবহাওয়া দফতর। স্বস্তির কোনও চিহ্নই নেই। বেশ কিছু জেলায় ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে গিয়েছে তাপমাত্রার পারদ। স্কুল কিংবা অফিসে যাওয়াই দায় হয়ে উঠেছে। পর্দা টেনে, এসি চালিয়ে গা এলিয়ে দিতে মন চাইলেও রুটি-রুজির জন্য সবসময় সেটা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
তবে তাতেও খুব বেশি স্বস্তি নেই। তাপমাত্রা ও তাপ প্রবাহের মাত্রা এতটাই বেশি যে বাড়ির দেওয়াল থেকে খাট দুপুর গড়ালে সবই গরম হয়ে উঠছে। ঘরে বাইরে তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাপপ্রবাহ, নিস্তার পাওয়াই কঠিন হয়ে উঠছে।
আবহাওয়া দফতর বলছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ এমন ভাবেই চলতে থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। শুক্রবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে পারে। শনিবার ও রবিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হলেও কলকাতায় এখনও সেই আশা নেই। চলতি সপ্তাহেও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আসলে উষ্ণায়ন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে প্রায় প্রত্যেকেই তার ফল পাচ্ছেন বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
নেটিজেনদের কল্পনায় এখন উবেরেও গাড়ির বদলে উট। মরুবাসীর মতোই এখন একফোঁটা বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে সাধারণ মানুষ।