কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে আতসকাচের তলায় টালা থানার ভূমিকা। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তথ্য ও প্রমাণের লোপাটের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে এই প্রথম নয়। অভিযোগ, এর আগেও আরজি করের একটি ঘটনায় ভুয়ো সাক্ষ্য নথিভুক্ত করে আদালতে জমা দিয়েছিল টালা থানা। আরজি কর কাণ্ডের আবহে এবার টালা থানার বিরুদ্ধে সরব হলেন আরজি করের প্রাক্তনীদের অ্যাসোসিয়েশন।
গত বছরের অগস্টে অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয় দখল ঘিরে গন্ডগোল হয় আরজি করে। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ ওঠে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করে প্রাক্তনীদের অ্যাসোসিয়েশন। সেই ঘটনায় অ্যাসোসিয়েশনের দাবির পক্ষে সাক্ষী ছিলেন চিকিৎসক তড়িৎ চট্টোপাধ্যায়। অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, শিয়ালদহ আদালতে চিকিৎসক তড়িৎ চট্টোপাধ্যায়ের ভুয়ো সাক্ষ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে।
শিয়ালদহ আদালতে হাজির হয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জানতে পারেন, চিকিৎসক তড়িৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয় দখলের কোনও ঘটনা ঘটেনি। অ্যাসোসিয়েশনের কোনও সদস্যকে মারধরও করা হয়নি। টালা থানার তরফে আদালতে এমনই দাবি করা হয়েছে বলে বক্তব্য অ্যাসোসিয়েশনের।
এই নিয়ে টিভি৯ বাংলাকে চিকিৎসক তড়িৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার সঙ্গে টালা থানার কেউ যোগাযোগ করেননি। আমার নাম করে যে সাক্ষ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা।”
চিকিৎসক তড়িৎ চট্টোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে সামনে রেখে সাংবাদিক বৈঠকে আরজি করের প্রাক্তনীদের অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, “তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ঘটনা তিলোত্তমা কাণ্ডে প্রথম নয়। সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে টালা থানা যে এই কাজে সিদ্ধহস্ত, তা সাক্ষীর নামে ভুয়ো বয়ান রেকর্ডই তার প্রমাণ।”
নিজেদের বক্তব্যের পক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে চিকিৎসক তড়িৎ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য তুলে ধরেন অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তাপস ফ্রান্সিস বিশ্বাস। সেই সূত্রে অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয় দখল ঘিরে বয়ান বদলের বিষয়টিও সিবিআইকে লিখিত ভাবে জানানো হবে বলে শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে আরজি করের প্রাক্তনীদের অ্যাসোসিয়েশন।