Nusrat Jahan: ডিরেক্টর হিসাবে অডিট রিপোর্টে সই ‘নুসরত জাহান রুহি’র, ফ্ল্যাট-প্রতারণা মামলায় নয়া তথ্য সামনে

ED: ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের যে অডিট রিপোর্টে নুসরত জাহানের সই রয়েছে, সেই রিপোর্ট টিভিনাইন বাংলার হাতে এসেছে। সংস্থার ব্যালান্স শিটেই দেখা যাচ্ছে সংস্থার অ্যাকাউন্টে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ২২ কোটি টাকা। নুসরতের উপস্থিতিতে বোর্ড মিটিংয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীদের জমি বন্ধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও ইডি সূত্রে খবর।

Nusrat Jahan: ডিরেক্টর হিসাবে অডিট রিপোর্টে সই 'নুসরত জাহান রুহি'র, ফ্ল্যাট-প্রতারণা মামলায় নয়া তথ্য সামনে
নুসরত জাহান। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2023 | 5:31 PM

কলকাতা: ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে হাজিরা দিয়েছেন নুসরত জাহান। গত মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। এবার ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’-এর নামে নয়া বেশ কিছু তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সূত্রের খবর, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ওই সংস্থার অডিট রিপোর্টে ‘নুসরত জাহান রুহি’র সই রয়েছে। আর সেই সই সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবে। প্রশ্ন উঠছে, সংস্থার সেই সময়ের ডিরেক্টর ব্যাঙ্ক কর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার বিষয়ে কিছুই কি জানতেন না? নুসরত আগেই দাবি করেছেন, এই সংস্থার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি। এই সংস্থা কী ব্যবসা করে, কাদের সঙ্গে ব্যবসা করে, ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠনের সঙ্গে কী ডিল হয়েছিল, কিছুই জানেন না। ওই সংস্থা থেকে তিনি কোনও আর্থিক সুবিধাও নেননি। একবার ঋণ নিয়েছিলেন, তাও শোধ করে দেন।

তবে ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের যে অডিট রিপোর্টে নুসরত জাহানের সই রয়েছে, সেই রিপোর্ট টিভিনাইন বাংলার হাতে এসেছে। সংস্থার ব্যালান্স শিটেই দেখা যাচ্ছে সংস্থার অ্যাকাউন্টে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ২২ কোটি টাকা। নুসরতের উপস্থিতিতে বোর্ড মিটিংয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীদের জমি বন্ধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও ইডি সূত্রে খবর। তাহলে নুসরতের দাবি ও বাস্তবিক যে ছবি, সেই দু’টোই কি কোথাও কোনও অসঙ্গতি রয়েছে, উঠছে সে প্রশ্নও।

ইডির দাবি, ওই সংস্থার নথি দেখে প্রাথমিকভাবে অন্তত মনে হচ্ছে নুসরত সবটাই জানতেন। ফ্ল্যাট প্রতারণার তদন্তে আরও একাধিক সংস্থার নাম উঠে আসছে বলেও দাবি ইডির। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ঋণ দেওয়া নেওয়ার হদিশ মিলেছে তদন্তে। একাধিক ব্যক্তির নামও এসেছে এই ঋণ দেওয়া নেওয়ার তালিকায়। এরমধ্যে আবার দু’টি সংস্থায় রাকেশ সিং ও রূপলেখার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলেও ইডি সূত্রে খবর। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ঋণের আড়ালে কি টাকা পাচার হত, খতিয়ে দেখছে ইডি। আগামী সপ্তাহে রাকেশকে ফের তলবের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে তাঁকে ডাকা হলেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। আরও নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে রূপলেখার কাছ থেকেও।