পাকিস্তানের দোকানের প্লাস্টিক খটকা ধরায়, নির্ঝঞ্জাট ‘ব্যবসায়ী’ জয়পালদের উপস্থিতি ভাবায়নি অভিজাত আবাসনের কাউকেই!

পঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টার যে ঘাঁটি গেড়েছে তাঁদেরই আবাসনে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি সাপুরজির অভিজাত হাউজ়িং কমপ্লেক্সের বাসিন্দারা (Newtown Gangster Shootout)।

পাকিস্তানের দোকানের প্লাস্টিক খটকা ধরায়, নির্ঝঞ্জাট 'ব্যবসায়ী' জয়পালদের উপস্থিতি ভাবায়নি অভিজাত আবাসনের কাউকেই!
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jun 10, 2021 | 12:37 PM

কলকাতা: দিন সতেরো ফ্ল্যাটে এসেছিল। কিন্তু খুব বেশি বাইরে বেরোত না জয়পাল সিং ভল্লার (Jaipal Singh Bhullar) ও তার সঙ্গী যশপ্রীত। তাদের চালচলন নিয়ে একেবারেই যে আবাসনের বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়নি, তেমনটা নয়। তবে পঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টার যে ঘাঁটি গেড়েছে তাঁদেরই আবাসনে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি সাপুরজির অভিজাত হাউজ়িং কমপ্লেক্সের বাসিন্দারা (Newtown Gangster Shootout)।

সন্দেহটা প্রথম হয়েছিল জয়পালদের হাতে একটি পাকিস্তানের কাপড়ের দোকানের প্লাস্টিক দেখে। জয়পালদের ফ্ল্যাট থেকে পাকিস্তানের কাপড়ের দোকানের সেই প্লাস্টিক মিলেছে। পুলিশ জানাচ্ছে, গত ২৩ মে ওই ফ্ল্যাটে আসে জয়পাল ও যশপ্রীত। একটি গাড়ি এসে তাদের নামিয়ে দিয়ে যায়। তারপর থেকে আর ফ্ল্যাট থেকে বেরোয়নি দু’জনে।

জানা যাচ্ছে, ব্যবসায়ীর পরিচয় দিয়ে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাট মাসিক ১৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ভাড়া নেয় জয়পাল ও যশপ্রীত। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য নিজেরা সরাসরি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় নি ওরা। তৃতীয় ব্যক্তি মারফত অর্থাৎ তার নাম ও নথি দিয়েই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল। দিয়েছিল অগ্রিম ২৫ হাজার টাকা। ২০ মে-র আগে চুক্তি করা হয়। ১১ মাসের জন্য করা হয়েছিল এই চুক্তি।

আরও পড়ুন: সকালেই খবর! কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পিন পয়েন্টে এনকাউন্টার! কলকাতায় স্রেফ একটা সূত্রেই মিলল গ্যাংস্টার জয়পালের খোঁজ

জানা যাচ্ছে, পঞ্জাব থেকে সড়কপথে কলকাতায় এসেছিল জয়পালরা। সারাদিন ঘরেই থাকত। তাদের ফ্ল্যাটে কেবল ফুড ডেলিভারি বয়দেরই যাতায়াত ছিল। কারণ রোজই অনলাইনে খাবার অর্ডার দিত জয়পালরা।

তবে বুধবারের ঘটনার পর রীতিমতো স্তম্ভিত আবাসনের বাকি বাসিন্দারা। এত দিন তাঁরা গ্যাংস্টারের সঙ্গে বাস করেছেন! ভাবলেই শিউরে উঠছেন তাঁরা। আবাসন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, “গাড়ি নিয়ে যে কেউ ইচ্ছা করলেই আবাসনে ঢুকে যেতে পারে। অনেকবার বলা সত্ত্বেও গেট দেওয়া থাকে না। গেটের সামনে ছাড়া আবাসনের কোথাও কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। কে কত দিন ধরে আসে, কীভাবে বলা যেতে পারে? কিছু দিন আগেই আরেক দুষ্কৃতী ধরা পড়েছিল। এটা পুরো দুষ্কৃতীদের সেফ হোম হয়ে গিয়েছে।”  অনেক জনের হাত ঘুরে ভাড়া নেওয়া হয় ফ্ল্যাট, উঠছে অভিযোগও।

ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে ফ্ল্যাটের মালিক ও ব্রোকারের নাম। সুশান্ত সাহা নামে এক দালালের মারফত ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় জয়পাল ও তার সঙ্গী যশপ্রীত। ফ্ল্যাটের মালিকের নাম সাবির মোল্লা। আপাতত ব্রোকারকে জেরা করছে পুলিশ। উঠে আসতে পারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।