Newtown: ‘বিডিওই সেদিন থাকতে বলেছিলেন…’, স্বপন কামিল্যা খুনে চাঞ্চল্যকর দাবি ধৃতের

Newtown: ক্যামেরার সামনে কোন কিছু না বললেও, অফ দা রেকর্ড তুফান থাপা জানান, তাঁর  ২৮ তারিখে বাগডোগরা টিকিট ছিল। সকাল বেলা বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিডিও প্রশান্ত বর্মন যেতে মানা করেন। পরের দিন অর্থাৎ ২৯ তারিখ যাওয়ার কথা বলেন। সেই মতো তিনি থেকে যান বাড়িতে। সেই সময় খাওয়া-দাওয়া চলছি। এর পরেই কোচবিহার ব্লক ২ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির সঙ্গে বেশ কয়েকজন যান, তারপরেই মারধর করা হয়। 

Newtown: বিডিওই সেদিন থাকতে বলেছিলেন..., স্বপন কামিল্যা খুনে চাঞ্চল্যকর দাবি ধৃতের
স্বপন কামিল্যা পাওয়া খুনে গ্রেফতারImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 13, 2025 | 12:52 PM

কলকাতা: নিউটাউনে স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই তদন্তে এবার জাল গোটাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজগঞ্জের BDO প্রশান্ত বর্মনের ২ ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের কলকাতার গাড়ির চালক রাজু ঢালি এবং উত্তরবঙ্গের এক ঠিকাদার তুফান থাপা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য বিধাননগর মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ক্যামেরার সামনে কোন কিছু না বললেও, অফ দা রেকর্ড তুফান থাপা জানান, তাঁর  ২৮ তারিখে বাগডোগরা টিকিট ছিল। সকাল বেলা বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিডিও প্রশান্ত বর্মন যেতে মানা করেন। পরের দিন অর্থাৎ ২৯ তারিখ যাওয়ার কথা বলেন। সেই মতো তিনি থেকে যান বাড়িতে। সেই সময় খাওয়া-দাওয়া চলছি। এর পরেই কোচবিহার ব্লক ২ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির সঙ্গে বেশ কয়েকজন যান, তারপরেই মারধর করা হয়।

গত মঙ্গলবার স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ ওঠে বিডিও-র বিরুদ্ধে। অভিযোগ,   দত্তাবাদের সোনার দোকান থেকে তুলে আনা হয় স্বপনকে। যিনি চুরি করেছিলেন, আনা হয় তাঁকেও। দোকান মালিক জানিয়েছেন, তাঁকেও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নিউটাউনেই একটি আবাসনের দোতলার একটি ঘরে আটকে রাখা হয় স্বপনকে। সেখানেই আটকে রেখে চলে ব্যাপক মারধর। সোনা চুরি করা ব্যক্তির উপরেও চলে অকথ্য অত্যাচার। দত্তাবাদের সোনার দোকান থেকে তুলে আনার পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেল্ট, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। একজন বাঁশ জাতীয় কিছু দিয়ে মাথায় পিছনে আঘাত করলে, সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী। পরে আর জ্ঞান ফেরে না। এরপরই নীলবাতি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যবসায়ীর দেহ। ফেলা হয় যাত্রাগাছিতে খালের ধারে।