কলকাতা: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদলের সফর ঘিরে রণক্ষেত্রের আকার নিল যাদবপুর এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি লাঠিও চালানোর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যাদবপুর কেপিসি হাসপাতাল সংলগ্ন নীলসঙ্ঘ এলাকা। লাঠি চালানোর জেরে এলাকার ৭-৮ জন বাসিন্দাও আহত হন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও ঘটনার প্রেক্ষিতে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
ভোট পরবর্তী হিংসা প্রভাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করতে ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে মানবাধিকার কমিশনের একাধিক দল। আদালতের নির্দেশে গত কয়েকদিন ধরেই জেলায় জেলায় ঘুরছে সেই দলগুলি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে যখন ঘড়ছাড়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা ওই এলাকায় পৌঁছন, তখনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। স্থানীয় বাসিন্দারা মানবাধিকার কমিশনের সামনে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেওয়া শুরু করেন। ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তাঁরা জানাতে শুরু করেন কমিশনের সদস্যদের কাছে। শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বাসিন্দাদের বাক্য বিনিময় এবং বচসা। ক্রমেই তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন: জৈন হাওয়ালা মামলায় অভিযুক্ত ‘জগদীপ ধনখড়’-ই কি বাংলার রাজ্যপাল? নথি দেখিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের
ঠিক এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এই লাঠি চালানো জেরে ৬-৭ জন আহত হন যাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও যাদবপুর থানায় কোনও অভিযোগ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়ের করা হয়নি। কী এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে লাঠি চালাতে হল? বর্তমানে এই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল।