মোমিনপুর: মোমিনপুর কাণ্ডে আগেই তদন্তভার হাতে নিয়েছিল এনআইএ (NIA)। এবার সেই মামলায় সাতজন অভিযুক্তের নামে হুলিয়া জারি করল এনআইএ আদালত। এই সাতজন অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী বলে দাবি এনআইএ আধিকারিকদের। এবার অভিযুক্তদের খোঁজ পেতে মরিয়া গোয়েন্দারা। এনআইএ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম এম ডি সালাউদ্দি সিদ্দিকি, এম ডি ইদুল সিদ্দিকি, ওহাব হোসেন ভিকি, জাকির হোসেন, এম ডি ফাইয়াজ, সানি, রাজু আহমেদ।
এনআইএ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সাত জনের বিরুদ্ধে আগেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল এনআইএ আদালত। তারা পলাতক বলেও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এরপরও আত্মসমর্পণ করেনি তারা। এমনকী অভিযুক্তদের খোঁজও পাননি গোয়েন্দারা। তারপরই বুধবার এ হেন পদক্ষেপ করল এনআইএ আদালত। ইতিমধ্যেই NIA-র তরফ থেকে এই সাতজনের খোঁজ পেতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের নাম, কেস ডিটেল পোস্টার আকারে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হচ্ছে। যে বা যারা এই পলাতকদের খোঁজ দিতে পারবে তাঁদের ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার হিসেবে দেবেন গোয়েন্দারা। এরপরও অভিযুক্তদের খোঁজ পাওয়া না গেলে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিতে পারে আদালত এমনটাই এনআইএ সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি পলাতক এই সাতজনের বিরুদ্ধে এনআইএ আদালতের নির্দেশে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। সালাউদ্দিন সহ তিনজনের বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৩৬ লক্ষ টাকা। সেই ঘটনা থেকেই গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই তিনজনের বিশেষ কোনও পরিকল্পনা ছিল। মোট ১৬ জনের নামে সম্প্রতি চার্জশিট পেশ করেছে এনআইএ। মোট আটজনকে এই মামলায় গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, হাওড়ার শিবপুর-রিষড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছে বিরোধীরা। আদালতে মামলাও করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় একই ধরনের ঘটনা এক বছর আগে ঘটেছিল মোমিনপুরে। সেই ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হলেও মাস্টার মাইন্ডরা গ্রেফতার হয়নি। এরপর আজ হুলিয়া জারি করা হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।