
কলকাতা: টেরর ফান্ডিংয়ে কলকাতার যোগ। কলকাতার একাধিক ট্রাভেল এজেন্সি ও জিম ইনস্ট্রাক্টরদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে টেরর ফান্ডিংয়ের জন্য। এনআইএ-এর তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এমনই মোমিনপুরের একটি ট্রাভেল এজেন্সির নাম উঠে এসেছে। সেই এজেন্সির মালিক মাসুদ আলমকে তলব করেছে এনআইএ। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিউটাউন এনআইএ অফিসে এসে পৌঁছন মাসুদ আলম।
টেরর ফান্ডিং মামলায় গত ৩১ মে ৮টি রাজ্যে তল্লাশি চালায় এনআইএ। জানা গিয়েছে, দিল্লি, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং অসমের ১৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, কলকাতার তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা এক সিআরপিএফ জওয়ানকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছিলেন গোয়েন্দারা। ধৃত সেই মোতি লাল জাটের সঙ্গে যোগ থাকার জেরেই কলকাতার তিন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। কলকাতার আলিপুরের একটি দোকান, মোমিনপুরের একটি ট্রাভেল এজেন্সি এবং তোপসিয়ায় একটি হোটেলে হানা দিয়েছিল এআইএ। এই ঘটনায় ২ জনকে তলবও করেছে এনআইএ।
মোমিনপুরের যে ট্রাভেল এজেন্সিতে এনআইএ হানা দিয়েছিল, সেখানে টাকা ট্রান্সফার হয়ে থাকতে পারে। গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন, ২০২৪ সালের ৩ এপ্রিল সেই এজেন্সি থেকে তিনটি লেনদেন হয়েছিল যা সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত। এই আবহে এজেন্সির মালিক মাসুদ আলমকে জেরার জন্য আজ তলব করেছিল এনআইএ।