কলকাতা : রাজ্যে ফের ওমিক্রনের (Omicron Variant) আতঙ্ক। নাইজেরিয়া (Nigeria) ফেরত এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত। ১২ ডিসেম্বর নাইজেরিয়া থেকে কলকাতায় এসেছিলেন ৬৯ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধ। নাইজেরিয়া থেকে ফেরার পর থেকেই করোনার মৃদু উপসর্গ (Mild Symptoms of COVID 19) অনুভব করতে শুরু করেন তিনি। দেরি না করে করোনা পরীক্ষা করান তিনি। ১৪ ডিসেম্বর তাঁর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি। তবে তিনি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
নাইজেরিয়া ফেরত করোনা আক্রান্ত ওই বৃদ্ধের সোয়াবের নমুনা সোমবার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। ওই বৃদ্ধের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও ফিরেছিলেন বিদেশ থেকে। তবে তাঁর স্ত্রীর শরীরে করোনার কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত ওই ৬৯ বছর বয়সি বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থায় তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও অবনতি হয়নি। গুরুতর কোনও সমস্যা নেই বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। তাঁর সোয়াবের নমুনা ইতিমধ্য়েই কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হয়েছে। সোমবার তাঁর সোয়াবের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে। তবে স্বস্তির খবর, ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধের গাড়ির চালক এবং অন্য এক ব্যক্তি তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন। রবিবারই তাঁদের কোভিড পরীক্ষা করানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৫ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সাত বছরের এক বালকের নমুনায় নয়া ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতির খবর জানা গিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই তাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে তড়িঘড়ি সংক্রমিত বালক ও তার পরিবারের সদস্যদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাদের আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সংক্রামিত ওই বালক ও তার পরিবারের প্রত্যেকের দ্বিতীয়বার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
বৃহস্পতিবার মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় যে, ওই বালকের আরটি- পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ। পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায় তাদেরকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় পরের দিনই।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর আবু ধাবি থেকে এসে হায়দরাবাদে বিমানবন্দরে অবতরণ করে ওই বালক ও তার বাবা-মা। হায়দরাবাদে দু দিন থাকার পর ১৪ ডিসেম্বর কলকাতায় ফেরে সেই পরিবার। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে গতকালই তারা মুর্শিদাবাদের বাড়িতে ফেরে।