হাসপাতালে পড়ে রয়েছে স্বামীর ঝলসে যাওয়া দেহ! স্ত্রীর আর্তি ‘ও কেমন আছে একটু বলুন না প্লিজ!’

Strand Road Fire: নিহতের স্ত্রীর কথায়, "আমি ওর এক বন্ধুকে ফোন করে জানতে পারি শ্বাসকষ্ট হয়েছে। ওর বন্ধুই বলল পিজিতে আসুন। এইটুকুই আমি জানি। আর কিছু জানি না।"

Mar 09, 2021 | 3:45 PM

কলকাতা: স্বামী যে বেঁচে নেই তা এখনও খবর পাননি হেয়ার স্ট্রিট  থানার এএসআই অমিত ভাওয়ালের (ASI Amit Bhawal) স্ত্রী। পরিচিতরা জানিয়েছেন, শ্বাসের কষ্ট। তাই হাসপাতালে ভর্তি। তবু মন তো কু ডাকছেই। চোখে মুখে উদ্বেগের ছাপ অমিতের স্ত্রী পিঙ্কি ভাওয়ালের। দেখে মনে হচ্ছে, যেন নিজের মধ্যেই নেই। সংবাদমাধ্যমের সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন ঠিকঠাকই। তবু তারই মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ কাতর আর্তি ছুড়ে দিচ্ছেন, “ও কেমন আছে একটু বলুন না প্লিজ!”

স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ডে যে ন’জন মারা গিয়েছেন তাঁর মধ্যে রয়েছেন এএসআই অমিত ভাওয়াল। প্রত্যেকদিনের মতই সোমবারও দুপুর ১টা ১৫য় বাড়ি থেকে বের হন তিনি। দুপুর ২টো থেকে তাঁর ডিউটি ছিল। কিন্তু রাত বাড়লেও বাড়িতে ফোন আসেনি। চিন্তা বাড়ছিল পিঙ্কির। এরপর অমিতের নম্বরে ফোন করতেই দেখেন ফোন বন্ধ। বুকটা ধড়াস করে ওঠে। তখনও বোঝেননি, মুহূর্তে সব শেষ।

আরও পড়ুন: স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ড: শোক প্রকাশ মোদীর, নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা

অমিত ভাওয়ালের এক প্রতিবেশি জানান, “রাতে টিভিতে খবর দেখছিলাম। যেই শুনি হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই। তখনই মনটা কেমন করে উঠেছিল। ছেলেটা তো ওখানেই আছে। এরপর আমার এক ভাইয়ের কাছে ফোন করে বিষয়টা জানানো হয়। তবে ওর স্ত্রীকে কিছু জানানো হয়নি। ওদের আমার ভাইয়ের ঘরে এনে রাখি।”

পিঙ্কির কথায়, “আমি ওর এক বন্ধুকে ফোন করে জানতে পারি শ্বাসকষ্ট হয়েছে। ওর বন্ধুই বলল পিজিতে আসুন। এইটুকুই আমি জানি। আর কিছু জানি না।” আলিপুরদুয়ারে বাড়ি হলেও বাগুইআটির দেশবন্ধু নগরে স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে থাকতেন অমিত। সোমবার সন্ধ্যায় স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের অফিসে আগুন লাগার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। তখনও বোধহয় বুঝতে পারেননি, চরম পরিণতি অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য। পিঙ্কিও বোধহয় বুঝতে পারেননি, জীবন থেকে মুছে যেতে চলেছে একটা বড় অধ্যায়।

কলকাতা: স্বামী যে বেঁচে নেই তা এখনও খবর পাননি হেয়ার স্ট্রিট  থানার এএসআই অমিত ভাওয়ালের (ASI Amit Bhawal) স্ত্রী। পরিচিতরা জানিয়েছেন, শ্বাসের কষ্ট। তাই হাসপাতালে ভর্তি। তবু মন তো কু ডাকছেই। চোখে মুখে উদ্বেগের ছাপ অমিতের স্ত্রী পিঙ্কি ভাওয়ালের। দেখে মনে হচ্ছে, যেন নিজের মধ্যেই নেই। সংবাদমাধ্যমের সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন ঠিকঠাকই। তবু তারই মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ কাতর আর্তি ছুড়ে দিচ্ছেন, “ও কেমন আছে একটু বলুন না প্লিজ!”

স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ডে যে ন’জন মারা গিয়েছেন তাঁর মধ্যে রয়েছেন এএসআই অমিত ভাওয়াল। প্রত্যেকদিনের মতই সোমবারও দুপুর ১টা ১৫য় বাড়ি থেকে বের হন তিনি। দুপুর ২টো থেকে তাঁর ডিউটি ছিল। কিন্তু রাত বাড়লেও বাড়িতে ফোন আসেনি। চিন্তা বাড়ছিল পিঙ্কির। এরপর অমিতের নম্বরে ফোন করতেই দেখেন ফোন বন্ধ। বুকটা ধড়াস করে ওঠে। তখনও বোঝেননি, মুহূর্তে সব শেষ।

আরও পড়ুন: স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ড: শোক প্রকাশ মোদীর, নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা

অমিত ভাওয়ালের এক প্রতিবেশি জানান, “রাতে টিভিতে খবর দেখছিলাম। যেই শুনি হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই। তখনই মনটা কেমন করে উঠেছিল। ছেলেটা তো ওখানেই আছে। এরপর আমার এক ভাইয়ের কাছে ফোন করে বিষয়টা জানানো হয়। তবে ওর স্ত্রীকে কিছু জানানো হয়নি। ওদের আমার ভাইয়ের ঘরে এনে রাখি।”

পিঙ্কির কথায়, “আমি ওর এক বন্ধুকে ফোন করে জানতে পারি শ্বাসকষ্ট হয়েছে। ওর বন্ধুই বলল পিজিতে আসুন। এইটুকুই আমি জানি। আর কিছু জানি না।” আলিপুরদুয়ারে বাড়ি হলেও বাগুইআটির দেশবন্ধু নগরে স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে থাকতেন অমিত। সোমবার সন্ধ্যায় স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের অফিসে আগুন লাগার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। তখনও বোধহয় বুঝতে পারেননি, চরম পরিণতি অপেক্ষা করছে তাঁর জন্য। পিঙ্কিও বোধহয় বুঝতে পারেননি, জীবন থেকে মুছে যেতে চলেছে একটা বড় অধ্যায়।