NKDA: পুজো পরিক্রমা এবার সাইকেলে, দূষণ ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদের

cycle: এবার সাইকেলে করে পুজো (Durga Pujo)  পরিক্রমার উপর জোর দিল নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ বা এনকেডিএ (NKDA)।

NKDA: পুজো পরিক্রমা এবার সাইকেলে, দূষণ ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদের
পুজো পরিক্রমা এবার সাইকেলে! নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 11:35 PM

নিউটাউন: করোনা আবহে বিশ্বজুড়েই সাইকেলে (Cycle) যাতায়াতে জোর দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ মানুষও ছোঁয়াচ এড়াতে সাইকেলে চেপে অফিস যাচ্ছেন অনেকটা পথ পেরিয়ে। সেই প্রেক্ষিতে গত বছরই অ্যাপ নির্ভর সাইকেল চালু হয়েছিল নিউটাউনে (Newtown)। এবার সাইকেলে করে পুজো (Durga Pujo)  পরিক্রমার উপর জোর দিল নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ বা এনকেডিএ (NKDA)।

NKDA -এর পক্ষ থেকে এ বছরে ষষ্ঠীর সকালে সাইকেলে করে পুজো পরিক্রমার উদ্যোগে জোর দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠীর সকাল আটটা থেকে নিউ টাউন বিশ্ব বাংলা গেট হয়ে সাইকেলে করে বিধান নগরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে পুজো পরিক্রমা করা যাবে। তার জন্য অবশ্য NKDA-এর পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট গাইডলাইন-ও দিয়ে দেওয়া হবে। মূলত দূষণ এড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন।

এদিন নিউটাউন ইকোপার্কে অনুষ্ঠিত হয় ইলেকট্রিক ভেইকেল কার্নিভাল। ১ অক্টোবর বিকেল চারটেটে থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এই  কার্নিভাল চলে। এখানে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি টেস্ট ড্রাইভ করার সুযোগ ছিল। এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন হিডকো চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন এনকেডিএ-এর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন,  বিদ্যুৎ দফতরের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি এস সুরেশ কুমার প্রমুখ। সেখান থেকেই অভিনব উদ্যোগের কথা জানালেন দেবাশিসবাবু।

দেবাশীষ সেনের কথায়, “সামনে পুজো আসছে। সেই কারণে এনকেডিএ অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। পুজো পরিক্রমা হয় বাসে করে। ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট এটা করে। তবে এই বার প্রথম আমরা বাই-সাইকেলে পুজো পরিক্রমা করাব। আগামী দশ তারিখ ষষ্ঠীর দিন সকাল আটটায় বিশ্ববাংলা গেট থেকে যে যে সাইকেল নিয়ে আসবেন, সল্টলেকের বিভিন্ন পুজো সাইকেল চালিয়ে দেখে নেওয়া হবে। এনকেডিএ তরফ থেকে গাইড থাকবে।পরিবেশ সচেতন হোন। সাইকেল চালান ইলেকট্রিক গাড়ি চালান। পরিবেশকে দূষণ করবেন না।”

আর ফিরহাদ হাকিম জানান দূষণ রোধ করতে ইলেকট্রিক গাড়িই ভবিষ্যৎ। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আমি ইলেকট্রিক স্কুটার চালিয়ে নবান্নে নিয়ে গিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী নিজে পলিউশন (দূষণ)-এর ব্যাপারে অত্যন্ত চিন্তিত। তেলচালিত গাড়িগুলোকে কমানো এবং ইলেকট্রিক গাড়ি বাড়ানোর দিকে একটা উদ্যেগ আমাদের সরকার নিয়েছে। তারই অংশ হিসাবে এখানে এই কার্নিভাল। ইলেকট্রিক তৈরিকারী সংস্থাকে বলব, একটু দাম কমিয়ে যাতে মানুষ কিনতে পারে, এরকম ব্যবস্থা করতে। সারা কলকাতা জুড়ে আরও বেশি করে চার্জিং পয়েন্ট করব। সিএসসি-কে আপনাদের সামনে আবেদন করলাম চার্জটা আর একটু কমান।”

পেট্রোল ও ডিজেলের থেকে অনেক কম খরচে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইলেকট্রিক গাড়ি ও স্কুটার। ২০৩০ সালের মধ্যে কলকাতায় ২,০০০ ইলেকট্রিক বাস চলবে বলে জানান পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

আরও পড়ুন: Flood Situation: ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্বে সায় বঙ্গ বিজেপির, তবে ‘মেড বাই মমতা’