Minister from Bengal: এক যুগ ধরে পূর্ণমন্ত্রী নেই বাংলার! সুকান্ত বুঝিয়ে দিলেন, এত কমে পুরস্কার মেলে না

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 10, 2024 | 4:26 PM

Sukanta Majumdar: ২০১২ সালের ২৬ জুন অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকে আর এ রাজ্য কোনও ক্যাবিনেট মন্ত্রী পায়নি। অথচ এই বঙ্গ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু'বার রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলেছেন। বাংলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় দু'বারের রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে চর্চা হয় আজও।

Minister from Bengal: এক যুগ ধরে পূর্ণমন্ত্রী নেই বাংলার! সুকান্ত বুঝিয়ে দিলেন, এত কমে পুরস্কার মেলে না
সুকান্ত মজুমদার।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: ১২ বছর পার। এক যুগ হয়ে গেল বাংলায় নেই কোনও কেন্দ্রীয় পূর্ণমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব নিয়েই দিন কাটছে সোনার বাংলার। নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মন্ত্রিসভাতেও বাংলার পেল না কোনও পূর্ণমন্ত্রী। রবিবার বনগাঁ ও বালুরঘাটের সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং সুকান্ত মজুমদার শপথ নিলেন প্রতিমন্ত্রী হিসাবেই। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘যতটুকু পাওয়ার ততটুকুই দেবে।’

খাতায় কলমে প্রতিমন্ত্রীদের কাজের কথা বলা থাকলেও তার বাস্তবায়ন অধরাই থাকে। অটল বিহারী বাজপেয়ী বা মনমোহন সিং জমানায় অনুযোগ ছিল, প্রতিমন্ত্রীদের বেশিরভাগ ফাইল পেতেন না। এ বিষয়ে মনমোহন সিংয়ের আমলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছিলেন অনেক প্রতিমন্ত্রীও।

২০১২ সালের ২৬ জুন অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তারপর থেকে আর এ রাজ্য কোনও ক্যাবিনেট মন্ত্রী পায়নি। অথচ এই বঙ্গ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’বার রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলেছেন। বাংলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় দু’বারের রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে চর্চা হয় আজও।

অর্থ, বিদেশ, প্রতিরক্ষার মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিগ ফোর দফতর দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার করেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তথ্য ও সম্প্রচার, জল সম্পদ এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব ছিল এই বঙ্গের রাজনীতিক প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির কাঁধে।

কিন্তু মোদী জমানায় বাংলা ১২ বছর ধরে একজনও পূর্ণমন্ত্রী পেল না। বিরোধীরা বলছে, উত্তরবঙ্গের ভোটব্যাঙ্ক মাথায় রেখে একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। আর শান্তনু ঠাকুর মতুয়া সমাজের প্রতিনিধি। সেই ভোট এখনও বিজেপির পক্ষেই রয়েছে। সে কারণেই শান্তনুকে আবারও মন্ত্রী করা হয়েছে।

তৃণমূল এ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি। তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, “বিজেপি বাংলাকে সবসময়ই বঞ্চনা করে। বাংলার কথা বিজেপি কোনওদিনই ভাবে না। ১৮টা সাংসদ পেয়েও হাফ প্যান্ট মন্ত্রী দিয়েছিল, এখনও হাফ প্যান্ট মন্ত্রী। যদিও সে হাফ প্যান্ট হোন বা ফুল প্যান্ট মন্ত্রী, বাংলার জন্য বিজেপির মন্ত্রীরা যে কিছুই করবেন না তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।”

যদিও দিল্লিতে বসে সুকান্ত মজুমদার বললেন, “বিরোধীরা তো এসব বলবেই। নতুন কিছু নয়। বাংলায় সিট কমে গিয়েছে আমাদের। স্বাভাবিক, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তো আর পুরস্কার দেবে না। যতটুকু পাওয়ার ততটুকুই দেবে।

Next Article