কলকাতা: গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার হয়েছে গার্ডেনরিচ কাণ্ডে অন্যতম পান্ডা আমির খান। ইতিমধ্যেই তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে আমিরের গ্রেফতারির পর কী প্রতিক্রিয়া গার্ডেন রিচের খান পরিবারের? খোঁজখবর নিতে টিভি নাইন বাংলা পৌঁছে গিয়েছিল আমিরের বাবা নিসার আহমেদ খানের সেই বাড়ির সামনে। একাধিকবার ডাকাডাকি, দরজায় কড়া নাড়ার পরেও কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি বাড়ির ভিতর থেকে। পাড়ার লোকেরা বলছেন, ১০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে পরিবারের কাউকেই এই বাড়িতে আসতে দেখা যায়নি।
বাড়ির মূল ফটকে বাইরে থেকে কোনও তালা নেই। বেশ কয়েকবার জোরে কড়া নাড়তেই বোঝা গেল, গেটটি ভিতর থেকে বন্ধ। অথচ ভিতর থেকে কোনও সাড়াশব্দ নেই। প্রতিবেশীদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেদিন থেকে এই বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেদিন থেকে কোনও আত্মীয় পরিজনকে সেভাবে বাড়ির ভিতরে বা বাইরে বেরোতে দেখেননি তাঁরা। অর্থাৎ, কিছুটা আড়ালেই থাকতে চাইছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, মোবাইলে গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার কারবার চালাত আমির। ই-নাগেটস নামে একটি গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করা হত এই প্রতারণার কাজে। সেই সূত্র ধরেই গাজিয়াবাদ থেকে আমিরকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এদিকে আমিরের টাকা কোন কোন জায়গায় ব্যবহার হত, সেই সব প্রশ্নও ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ধৃত আমির খানের বাবা নিসার আহমেদ খান পেশায় পরিবহন ব্যবসায়ী। প্রতারণার কালো টাকা সাদা করতে বাবার ব্যবসাতেও কি বিনিয়োগ করত আমির? এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।
শুক্রবারই উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল মোবাইল অ্যাপে আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত আমির খান। তার আগেই গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল এলাকার বাড়িতে ইডির অভিযানে উদ্ধার হয়েছিল ১৭ কোটিরও বেশি টাকা। তারপর থেকেই পলাতক ছিল আমির খান। ই-নাগেটস নামে একটি অনলাইন মোবাইল গেমিং অ্যাপ ব্যবহার করে ধৃত আমির লোক ঠকানোর কারবার চালাত বলে অভিযোগ।