Diwali Firecrackers Ban: হাইকোর্টের নির্দেশকেই মান্যতা, বাজিতে ‘না’ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদেরও
kali Puja: রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছে আসন্ন কালীপুজো, দিওয়ালি, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, গুরু নানকের জন্মদিন, ক্রিসমাস, ইংরাজি নববর্ষের উদযাপনে কোনও রকমের আতসবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হল।
কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মতোই অবস্থান বদলাল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও। শনিবার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল কালীপুজো (Diwali 2021), ছটে বাজি ফাটানো যাবে না। ওয়েস্ট বেঙ্গল পলিউশন কনট্রোল বোর্ডের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে উৎসবের দিনগুলিতে কোনও রকম বাজি পোড়ানো যাবে না। রাজ্যকে এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছে আসন্ন কালীপুজো, দিওয়ালি, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, গুরু নানকের জন্মদিন, ক্রিসমাস, ইংরাজি নববর্ষের উদযাপনে কোনও রকমের আতসবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হল। এই সময় চাইলে মোমবাতি কিংবা মাটির প্রদীপের ব্যবহার করা যেতে পারে।
একই সঙ্গে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পুলিশ উৎসবের এই দিনগুলিতে সবসময় নজরদারি চালাবে। কেউ যদি আইন ভেঙে বাজি বিক্রি করেন কিংবা কেনেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানোয় সম্মতি দিয়েছিল রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
কিন্তু শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট এই পরিবেশবান্ধব বাজি সম্পর্কে তাদের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে জানায়, এই পরিবেশ বান্ধব বাজি নিয়ে কারও কাছেই কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। গ্রিন ক্র্যাকার্স কী, তাতে কী কী রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় সেটা কে পরীক্ষা করবে? আদালতের বক্তব্য মানুষের জীবন আগে। ব্যবসার অধিকারের থেকেও জীবনের অধিকার বড়। এরপরই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় কোনও রকম বাজিই এবার কালীপুজো, ছটপুজো কিংবা ক্রিসমাস, নিউ ইয়ারে পোড়ানো যাবে না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানান। তাদের মতে, “আমরা চিকিৎসকরা হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। গত কয়েক বছরে আমরা দেখেছি দীপাবলি থেকে নিউ ইয়ারের পর এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে দেখা যায় বায়ু দূষণ হু হু করে বেড়েছে। মানুষের জন্য তা মোটেই ভাল নয়। আর কোভিডের সময় আমাদের আলাদা করে ফুসফুসের সমস্যা হচ্ছে। তাই একটু কড়া হতেই হবে।”
যদিও আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির সভাপতি বাবলা রায়ের কথায়, “সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির ৩১ লক্ষ মানুষ এর সঙ্গে জড়িত। বাড়ি শ্রমিক, তাঁদের পরিবার রয়েছে। যারা রাজ্যের আতসবাজি প্রেমী রয়েছেন, বলব এর বিরোধিতা করুন। যেখানে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে সারা ভারতবর্ষে গ্রিন ফায়ারওয়ার্কস। সেখানে কলকাতা হাইকোর্ট ঘোষণা করে দিল কোনও রকম আতস বাজি চলবেই না। এটা কী ভাবে হয়। আমাদের মনে হয়েছে এটা এক তরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সুপ্রিম কোর্ট ও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের যে নির্দেশ গোটা দেশের জন্য জারি করা হয়েছে, তাকে নস্যাৎ করে দিয়ে এক তরফা শুনানি শুনে আজ যে ভাবে আতস বাজি নিষিদ্ধ করা হল আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি এই রায়ে আমরা খুশি নই। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: ভোটের দিনও একাকী ঘরে বসে তৃণমূলের রবীন্দ্রনাথ! ক্রমেই কি কোণঠাসা হচ্ছেন?