Mamata Banerjee: শুধুই দলের প্রচার! কোনও ব্যক্তি প্রচার নয়… সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়াকড়ি মমতার
TMC Working Committee: বিগত কিছুদিন ধরেই তৃণমূল সুপ্রিমোর জন্য একটি প্রধান অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়া। শাসক দলের বিভিন্ন নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে, বিভিন্ন ধরনের মিম, লাইভ করতে দেখা গিয়েছিল। সেখানে তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত জানাচ্ছিলেন, যা অনেক ক্ষেত্রেই ওই ইস্যুতে দলগত অবস্থানের থেকে কিছুটা বেঁকে যাচ্ছিল।
কলকাতা : সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনওরকম ব্যক্তি প্রচার চলবে না। শুধুমাত্র দলের প্রচার করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে জাতীয় কর্মসমিতির (TMC Working Committee) বৈঠকে এমনটাই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দলীয় সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূলের ‘নানা মুনির নানা মত’ দেখা গিয়েছে। এক এক নেতা, এক এক নেত্রী নিজেদের মতো করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ইস্যুতে মতামত রাখছিলেন। সেই নিয়ে তৃণমূলকে কোনঠাসা করার কোনও সুযোগই ছাড়েনি বিরোধী দলগুলি। বঙ্গ বিজেপি তো প্রায় প্রতিদিনই একটাই কথা – তৃণমূলের মুশল পর্ব চলছে। এবার কি বিরোধীদের সেই আক্রমণের পথ বন্ধ করতেই দলীয় নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো? জোর চর্চা চলছে রাজনীতির অলিন্দে।
উল্লেখ্য, বিগত কিছুদিন ধরেই তৃণমূল সুপ্রিমোর জন্য একটি প্রধান অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়া। শাসক দলের বিভিন্ন নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে, বিভিন্ন ধরনের মিম, লাইভ করতে দেখা গিয়েছিল। সেখানে তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত জানাচ্ছিলেন, যা অনেক ক্ষেত্রেই ওই ইস্যুতে দলগত অবস্থানের থেকে কিছুটা বেঁকে যাচ্ছিল। এই নিয়ে এর আগেও একাধিকবার দলের তরফ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল নেতাদের। কার্যত, দলের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করার অবস্থা হয়ে উঠেছিল। শুক্রবারের হাইভোল্টেজ বৈঠকেও ফের একবার সেই কথাটাই স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে কেবলমাত্র দলের কথাই বলা যাবে। কোনও ব্যক্তিগত মতামত, যাতে দলের অনুমোদন নেই – এমন কথা কোনওভাবেই বলা যাবে না।
সাম্প্রতিককালে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলে দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে দেখা গিয়েছে। একাধিকবার সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু কামারহাটির বিধায়ক ছিলেন নিজের মতোই। কিন্তু এই ধরনের খেয়ালখুশির আলটপকা মন্তব্য যে আর বরদাস্ত নয়, সেই বার্তাই যেন শুক্রবারের বৈঠকে দিয়ে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুধু মদন মিত্রই নন, কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি এক পদ নীতির সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা গিয়েছিল একাধিক যুব নেতাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফিরহাদ হাকিমকে আসরে নেমে বলতে হয়েছিল, দল এই ধরনের মন্তব্যের অনুমোদন দেয় না।ওই পোস্টগুলি ফেসবুক, টুইটার থেকে ডিলিট করে দেওয়ার জন্যও সংশ্লিষ্ট নেতাদের উদ্দেশে বলেছিলেন ফিরহাদ। উল্লেখ্য, এই এক ব্যক্তি এক পদ নীতি ঘিরে এক চিড় দেখা গিয়েছিল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারেও। এক ব্যক্তি এক পদ নীতি, যা অভিষেকের ভাবনা বলেই জানা যায়। সেই নীতির সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায় অভিষেকের ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কিন্তু শুক্রবারের বৈঠকে নিজের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দিলেন দলনেত্রী। সাফ বার্তা, দলের অনুমোদন নেই, এমন কোনও পোস্ট কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়।
আরও পড়ুন : Abhishek Banerjee: পদ ফিরে পেলেন অভিষেক! একাই সামলাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: ‘দল বড় হচ্ছে, এক জোট হোন’, শক্তির ভরকেন্দ্র নিয়ে বিতর্কের মাঝেই বার্তা মমতার