কলকাতা : তিন বাম নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেই মামলা আগেই গৃহীত হয়েছিল আদালতে। এবার সেই মামলায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের বিরুদ্ধে সমন জারি করল নিম্ন আদালত। আগামী ১৩ জুন তিনজনকে হাজিরা দিতে হবে। সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের ২২ লক্ষ টাকার গাড়ি থাকায় নীতিগত প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। সেখান থেকেই তরজার সূত্রপাত। পরে কুণাল ঘোষকেও চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন শতরূপ ঘোষ। এরপরই মানহানির মামলা করেন কুণাল ঘোষ।
শতরূপের বিরুদ্ধে কুণাল ঘোষ মন্তব্য করার পর তাঁকে আলিমুদ্দিন থেকে জবাব দেন শতরূপ। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁরা বাবা তাঁকে ওই গাড়ি উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন, তাই এতে নীতিগত কোনও প্রশ্ন থাকার কথা নয়। সেই সময় কুণালকে ‘টেস্ট টিউব বেবি’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন শতরূপ। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন কুণাল ঘোষ।
আদালতের দ্বারস্থ হয়ে কুণালের আইনজীবী দাবি করেন, শুধু তাঁকে নয়, তাঁর পরিবারকেও অপমান করা হয়েছে। আর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য সদর দফতরে বসে যেহেতু শতরূপ আক্রমণ করেছেন, তাই এর দায় বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিমের ওপরও বর্তায় বলেও দাবি করেন কুণাল। তাই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তৃণমূল নেতা।
কলকাতার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি বিচারযোগ্য বলে মনে করেন এবং সেটি গ্রহণ করেন। শুক্রবার সেই মামলাতেই সমন জারি করা হল।
কুণাল ঘোষ এদিন শুনানি শেষে বলেন, ‘তিন অভিযুক্তকে আগামী ১৩ জুন হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রথমেই মামলা করিনি। প্রথমে দুঃখ প্রকাশ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কোনও উত্তর আসেনি। এবার ক্ষমতা থাকলে সমনটাও এড়িয়ে দেখান। এখন আপনাদের সামনে দুটোই পথ খোলা আছে।’ কুণালের দাবি, রাজনৈতিক যুক্তি না থাকাতেই এভাবে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করা হয়েছে।